Advertisement
E-Paper

মনোজ নিয়ে নতুন আশঙ্কায় বাংলা

গৌতম গম্ভীর বনাম মনোজ তিওয়ারি স্লেজিং বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন টেনশন বঙ্গ শিবিরে। আশঙ্কার নতুন কারণ— ম্যাচ রেফারির নির্দেশিকা অমান্য করে বাংলার অধিনায়কের রবিবার মিডিয়ায় মন্তব্য করে বসা। বলা হচ্ছে, যা বোর্ডের নিয়মবিরুদ্ধ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১৯

গৌতম গম্ভীর বনাম মনোজ তিওয়ারি স্লেজিং বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন টেনশন বঙ্গ শিবিরে। আশঙ্কার নতুন কারণ— ম্যাচ রেফারির নির্দেশিকা অমান্য করে বাংলার অধিনায়কের রবিবার মিডিয়ায় মন্তব্য করে বসা। বলা হচ্ছে, যা বোর্ডের নিয়মবিরুদ্ধ। যে কারণে নতুন শাস্তির সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থেকে যাচ্ছে।

শোনা গেল, রবিবার ম্যাচের পর দুই অধিনায়ককে নিয়ে বসেছিলেন ম্যাচ রেফারি বাল্মিক বুচ। দু’জনকে নাকি তিনি বলেও দেন, কোটলায় যা হয়েছে, হয়েছে। মিডিয়ায় একবার বিবৃতি বেরিয়েছে, ঠিক আছে। কিন্তু দ্বিতীয় বার প্রচারমাধ্যমে তা নিয়ে মুখ না খুলতে। কিন্তু গম্ভীর বা মনোজ সেটা শোনেননি। বিকেলে মনোজ বিবৃতি দেন যে, বাংলা এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন গম্ভীর। রাতের দিকে দিল্লি অধিনায়ক আবার প্রেস রিলিজে পাল্টা দেন যে, মনোজের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে।

যা ম্যাচ রেফারি বুচ কী ভাবে নেবেন, তা নিয়ে টেনশনে বাংলা। এক টিভি চ্যানেল কোটলা-কাণ্ড নিয়ে বাংলা ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্তর মন্তব্য দেখানোর পর ম্যাচ রেফারি নাকি তাঁকে চেপে ধরে জিজ্ঞেস করেন, ব্যাপারটা তিনি নিজে মেটানোর পর ম্যানেজার কথা বলতে গেলেন কেন? বারণ সত্ত্বেও এ ধরনের মন্তব্যে যে তাঁর অপছন্দের, বুঝিয়ে দেন। বলা হচ্ছে, ম্যানেজারের মুখ খোলা নিয়ে যদি ম্যাচ রেফারি এই স্টান্স নেন, তা হলে দুই অধিনায়ক নিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি নরম হবেন তো?

শাস্তি নিয়ে বিভিন্ন জল্পনাও চলছে। কারও কারও অভিমত— ম্যাচ রেফারি যদি এটা নিয়ে প্রবল কড়া মনোভাব দেখান, দুই অধিনায়কেরই কম-বেশি নির্বাসন হতে পারে। বিরুদ্ধ একটা মতও আছে। বলা হল, ইতিমধ্যে কোটলা-কাণ্ডে গম্ভীর ও মনোজকে যথাক্রমে ম্যাচ ফি-র সত্তর ও চল্লিশ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আর রিপোর্টও তো চলে গিয়েছে। তার পর নতুন শাস্তি কী ভাবে হবে?

ব্যাপারটা কোন দিকে যাবে, বুঝতে আরও গোটা কয়েক দিন প্রয়োজন। বোর্ড থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত নতুন কোনও শাস্তির কথা জানানো হয়নি। কিন্তু বাংলা শিবিরের একাংশে মৃদু খচখচানি একটা আছে। এঁরা আরও দু’একদিন না গেলে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।

সিএবিও অস্বস্তিতে। বলা হচ্ছে, এমনিতেই বাংলার হয়ে রঞ্জিতে রান করছেন দু’জন। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং মনোজ। এর পর যদি আশঙ্কা সত্যি করে মনোজ ফের শাস্তি পান, গম্ভীরের সঙ্গে যদি তাঁকেও নির্বাসন দেয় বোর্ড, তা হলে টিম বেশ চাপে পড়ে যাবে। টিমকে টানার মতো ব্যাট বলতে থাকবেন শুধু সুদীপ। হরিয়ানার বিরুদ্ধে লাহলিতে এমনিতেই পাওয়া যাবে না ঋদ্ধিমান সাহাকে। তিনি টেস্ট খেলতে চলে যাচ্ছেন। লক্ষ্মীরতন শুক্লর চোট। এই অবস্থায় কেউ কেউ গম্ভীর নিয়ে ডিডিসিএ কী স্টান্স নিচ্ছে, সেটাও নজরে রাখতে চাইছেন। এঁদের বক্তব্য, গম্ভীর নিয়ে নতুন কিছু না হলে মনোজ নিয়েও হবে না।

হরিয়ানার দল নির্বাচন ঘিরেও সমস্যা কম নয়। আজ, মঙ্গলবার দল নির্বাচনী বৈঠক। দু’জনের পরিবর্ত বার করতে হবে। ঋদ্ধিমান এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক। যার মধ্যে প্রথম জনের পরিবর্ত খোঁজা বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রীবৎস গোস্বামীর হাতে কিপিংয়ের দায়িত্ব উঠতে চলেছে হরিয়ানা ম্যাচে। কিন্তু ব্যাটসম্যান ঋদ্ধির অভাব কে ঢাকবেন, বোঝা যাচ্ছে না।

MostReadStories
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy