Advertisement
E-Paper

মহকুমা শহরে ক্রিকেটারের খোঁজে সিএবি

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪১
তখন চলছে ফাইনাল। নিজস্ব চিত্র।

তখন চলছে ফাইনাল। নিজস্ব চিত্র।

জেলার কালনা ও কাটোয়া মহকুমা থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার তুলে আনতে পরিকাঠামো গত সাহায্য করবে সিএবি। শনিবার কালনার অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে কালনা মহকুমা ক্রিকেট লিগের ফাইনালে এসে এই আশ্বাস দিলেন সিএবির কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে। এ দিন ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অগ্নিবীণা ক্রিকেট ক্লাব ও জিউধারা বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব। খেলায় অগ্নিবীণা একপেশে খেলায় ১০৫ রানে হিউধারাকে হারিয়ে দেয়।

জেলার মধ্যে বর্ধমান সদর, আসানসোল ও দুর্গাপুর মহাকুমায় ডিউস বলে ক্রিকেট খেলার চল থাকলেও কালনা ও কাটোয়ায় ক্রিকেট খেলা হত টেনিস বলে। কয়েক বছর আগে থেকে এই ছবি বদলাতে শুরু করে। কালনা ও কাটোয়ার কয়েকটি ক্লাব ডিউস বলে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে। এ বছর সে রকমই কয়েকটি ক্লাবকে নিয়ে কালনা মহকুমা লিগ শুরু হয়। লিগের সবকটি খেলা হয়েছে ডিউস বলে। শনিবার ফাইনাল ম্যাচ শেষে মুখোমুখি দু’দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের প্রশংসা করে বিশ্বরূপবাবু বলেন, “ফাইনালে কয়েকজন বেশ শক্ত ক্যাচ নিয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো পাওয়া গেলে এই মহকুমার ছেলেরাও ভাল ক্রিকেট খেলতে পারবে।” পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বর্ধমান জেলায় সিএবি নিযুক্ত ক্রিকেট প্রশিক্ষক কুনাল বসু, সতরাজিৎ লাহিড়ি ও শিশির কুমার সুরকে জেলার কোন কোন ক্লাব ডিউস বলে অনুশীলন করতে চায় এবং তাদের কী কী পরিকাঠামো দরকার তার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন।

মাঠে উপস্থিত ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে বিশ্বরূপবাবু বলেন, “অশোক দিন্দা মেদিনীপুরের গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। ঋদ্ধিমান সাহার বাড়ি শিলিগুড়িতে। তাহলে কালনা ও কাটোয়া থেকেই বা কেন ভাল ক্রিকেটার বাংলা তথা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না?” তিনি জানান, ২০২০ সালকে সামনে রেখে সিএবি রাজ্যের মহকুমা স্তর থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। সিএবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২১ ও ২২ এপ্রিল বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে অনূর্ব্ধ ১৫ ও অনূর্ব্ধ ১৮ স্তরে ক্রিকেটারদের জন্য একটি ‘ওপেন ট্রায়ালে’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সিএবির কয়েকজন প্রশিক্ষক। সেখানে নির্বাচিতদের জন্য পরবর্তী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। মাঠে ভাল পিচ তৈরির জন্য কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থাকে একটি রোলার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি।

সিএবির এই উদ্যোগে খুশি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পীরদাস মণ্ডল বলেন, “আগে কালনা ও কাটোয়াতে ডিউস বলে ক্রিকেট খেলার তেমন চল ছিল না। তবে এখন কয়েকটি জায়গায় ডিউসে খেলা হচ্ছে। সিএবি ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।”

শনিবারের ৩০ ওভারের ফাইনাল খেলায় প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রান করে অগ্নিবীণা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় হিউধারা। এ দিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই জিউধারার বোলিংকে আক্রমণ করে অগ্নিবীণার ক্রিকেটাররা। তার মধ্যেও জিউধারার বোলার অঙ্কিত শর্মা ৪ উইকেট নিয়ে কিছুটা নজর কাড়েন। অগ্নিবীণার হয়ে রাজীব বসাক ৬২ রান করেন। বল হাতেও তিনি ২ উইকেট পান। শুধু ফাইনাল নয়, গোটা প্রতিযোগিতাতেই নজর কেড়েছে রাজীব। ম্যান অব দ্য সিরিজ, ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ-সহ প্রতিযোগিতার চারটি পুরষ্কার পেয়েছে রাজীব।

cab cricket kedarnath bhattacharya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy