পেনাল্টি-বিস্ময়। বুধবার পেলেগ্রিনি। ছবি: এএফপি।
ম্যাঞ্চেস্টারের মাঠে বার্সেলোনা তাদের প্রথম জয় পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও পেনাল্টি-বিতর্ক থামার নাম নেই।
পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে খোলাখুলি সুইডেনের রেফারি জোনাস এরিকসনকে পক্ষপাতদুষ্ট আর অযোগ্য বলায় সাসপেন্ড হতে পারেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির প্রবীণ কোচ মানুয়েল লুইস পেলেগ্রিনি রিপামোন্তি! ষাট বছরের চিলিয়ান কোচের অবশ্য সে দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। বরং মাঠেই রেফারিকে তুলোধোনা করার পর ম্যাচ শেষের সাংবাদিক বৈঠকে এসেও সটান বলে দেন, “রেফারি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধুই বার্সেলোনার হয়ে খেলিয়েছেন। ম্যাচের উপর ওঁর কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিল না।”
রেফারি ম্যাচটা খতম করে দিল। লাল কার্ড ছিল কিন্তু পেনাল্টি ছিল না। টুইটারে বরিস বেকার।
এতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আক্রমণে ওঠার মুখে লিওনেল মেসিকে পিছন থেকে বিশ্রী ফাউল করে লালা কার্ড দেখেন মার্টিন দেমিচেলিস। পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু ফাউলটা হওয়ার সময় মেসি পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে ছিলেন বলে বারবার টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখানো হয়। পেলেগ্রিনির দাবি, রেফারি পুরোপুরি অন্যায় পেনাল্টি দিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, ওই ঘটনার আগেই বুস্কেতস ফাউল করেছিলেন নাভাসকে। কিন্তু রেফারি দেননি। পেলেগ্রিনির কথায়, “নাভাসের ফাউলটা না দেওয়া রেফারির প্রথম ভুল। পেনাল্টি দিয়ে দ্বিতীয় ভুল করেন। দেমিচেলিসের সঙ্গে মেসির প্রথম কনট্যাক্ট বক্সের বাইরে হয়। এর পর আর ফাউলকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না। রেফারিকে মাঠেই বলেছি, একার চেষ্টায় ম্যাচের ফয়সালা করে দিলেন আপনি।”
পেলেগ্রিনির অবশ্য একা নন। ম্যাচ দেখার পরে আরও অনেকেই তাঁর সঙ্গে এক মত। প্রাক্তন টেনিস তারকা বরিস বেকার তো খেলা দেখতে দেখতেই টুইট করেন, “রেফারি ম্যাচটা খতম করে দিল। লাল কার্ড ছিল কিন্তু পেনাল্টি ছিল না।”
পেনাল্টির বৈধতা নিয়ে ফুটবল বিশ্বের তোলপাড় আরও উস্কে দিয়েছে পেলেগ্রিনির এই অভিযোগ যে, এরিকসন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে নিজের আগের ‘ভুল’ শুধরোতেই অন্যায্য পেনাল্টি দেন। ২০১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে এসি মিলানের সঙ্গে বার্সেলোনার ম্যাচ খেলিয়েছিলেন এরিকসন। গোলশূল্য ড্র সেই ম্যাচে বার্সেলোনার পেনাল্টির আবেদন খারিজ হওয়ার পর এরিকসনের নিন্দায় ফেটে পড়েছিল গোটা বার্সেলোনা শিবির। পেলেগ্রিনি বলেছেন, “যে রেফারি আগেও বড় ম্যাচে ভুল করেছে, তাকে ফের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কেন দেওয়া হল? অনেক বেশি অভিজ্ঞ কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। এই রেফারি আগে বার্সেলোনার ক্ষতি করেছিলেন। এ বার ক্ষতি পূরণ দিলেন।”
২০১২-য় রেফারির নিন্দা করায় আর্সেন ওয়েঙ্গারকে তিন ম্যাচ নির্বাসিত করেছিল উয়েফা। পেলেগ্রিনির ক্ষেত্রেও এমনই কঠোর শাস্তি হলে ন্যু কাম্পে ফিরতি ম্যাচটা সিটি কোচকে হয়তো গ্যালারি থেকেই দেখতে হবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy