সামনে অবনমনের ফাঁড়া। চাপ কাটাতে পুল-এ মহমেডান ফুটবলাররা। মঙ্গলবার। ছবি: উৎপল সরকার
অবনমনের আওতায় তাই শৃঙ্খলাভঙ্গ করলেও মহমেডানে পার পেয়ে যাচ্ছেন ফুটবলাররা।
শনিবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুবভারতীতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মহমেডানের। আই লিগে বাঁচতে হলে এই ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পেতেই হবে সঞ্জয় সেনের দলকে। অথচ সেই ম্যাচের প্রস্তুতিতেই গরহাজির জোসিমার। কাউকে কিছু না জানিয়ে মঙ্গলবার অনুশীলনে এলেন না ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। কর্তারাও জানেন না কেন জোসিমার আসেননি।
অসহ্য গরমের হাত থেকে ফুটবলারদের কিছুটা স্বস্তি দিতে সুইমিং সেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন সঞ্জয় সেন। চেতলায় নিজের বাড়ির কাছে পরিচিত একটি ক্লাবে। সেখানে আসেননি জোসিমার, এমনকী পেন ওরজিও। নাইজিরিয়ান মিডিও অবশ্য কর্তাদের জানিয়েছেন, সাঁতারের জায়গা চিনতে না পেরে রাসবিহারী থেকে ফিরে গিয়েছেন। মোবাইল ফোনের যুগে যা হাস্যকর যুক্তি। ক্লাব সূত্রের খবর, রাসবিহারীতে অপেক্ষা করার কথা ছিল পেনের। সেখান থেকে দলের কারও গিয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল নাইজিরিয়ান মিডিওকে। কিন্তু বোঝাপড়ার সমস্যার জন্যই পেন বাড়ি ফিরে চলে যায়।
জোসিমার-পেনের এ রকম আচরণে মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন বেশ বিরক্ত। কিন্তু অবনমনের হাত থেকে দলকে বাঁচানোর জন্য কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। বললেন, “আর কয়েকটা ম্যাচ বাকি। দল অবনমন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারকে শাস্তি দিতে গেলে দলের ক্ষতি। আমার হাতে তো পরিবর্ত নেই। বুধবার যদি জোসিমার অনুশীলনে আসে, তবে না আসার কারণ জানতে চাইব। আর পেন তো বলছে, রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে। এ ক্ষেত্রে কী আর বলার থাকতে পারে।” রাতে কোচের সঙ্গে টিম নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাবের অন্যতম কর্তা রাজু আহমেদ। পরে রাজু বললেন, “জোসিমারকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হবে, কেন ও আসতে পারেনি।” এ দিকে গরম এবং ক্লান্তির জন্য আজ বুধবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছেন কোচ আর্মান্দো কোলাসো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy