আইপিএল সেভেন এই মুহূর্তে যেখানে দাঁড়িয়ে, আশা করছি সেখান থেকে দু’টো টিম সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অবস্থায় আছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আর কলকাতা নাইট রাইডার্স জীবনের সন্ধান পেয়েছে। হায়দরাবাদ বোলাররা অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে হাতে। কলকাতার আছে তাদের ক্যাপ্টেন, ব্যাট হাতে যে টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
কেকেআরের ঘরের মাঠে তিনটে ম্যাচ আছে। ইডেনের টার্নারে সুনীল নারিন, সাকিব আল হাসান আর পীযূষ চাওলার র্যাঙ্কিংয়ের তিন জন স্পিনার নিয়ে নাইটদের উচিত বিপক্ষকে দৌড় করিয়ে হারানো। ওদের পক্ষে আরও খুশির ব্যাপার যে, গৌতম গম্ভীর অবশেষে জেগে উঠেছে। রবিন উথাপ্পার ব্যাটিং ওপেন করার অনুমতি পাওয়াটা দলকে ভাল ফল দিচ্ছে। কলকাতার ব্যাটিংকে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে ওদের শেষ ম্যাচে একেবারে অন্য রকম দেখিয়েছে।
কেকেআরের গেমপ্ল্যানে গম্ভীর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। হায়দরাবাদে যেমন অমিত মিশ্র। গম্ভীরকে যেমন কলকাতা, তেমনই অমিতকে হায়দরাবাদ একেবারে মোক্ষম সময়ে ম্যাচ-উইনার রূপে পুনরাবিষ্কার করেছে। অমিতকে একটা ম্যাচ বসিয়ে যদি ওকে ফের প্রবল ভাবে সক্রিয় করে তোলাটাই উদ্দেশ্য থাকে হায়দরাবাদের, তা হলে বলতেই হবে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।
অন্য দিকে, পয়েন্ট টেবিলে এখন কেকেআর যেখানেই থাক না কেন, চার নম্বর জায়গাটার জন্য ওদেরই আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে। সাকিব, মণীশ পাণ্ডে আর রায়ান দুশখাতে মিডল অর্ডারে থাকায় নাইটদের ব্যাটিং বেশ বিস্তৃত। তার পর আছে সূর্যকুমার যাদব। যাকে বীরেন্দ্র সহবাগ ভাবছে ভারতের হয়ে খেলার সত্যিকারের যোগ্য। এবং জাক কালিস চিরকালের যুদ্ধের ঘোড়া, যে কিনা খুব তাড়াতাড়ি লড়াই থেকে পালাবে এমনটাও নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy