Advertisement
E-Paper

সিএবি-তে শাসক দলের দশ নিয়ে বিতর্ক ক্রিকেটমহলে

গত বার সংখ্যাটা ছিল ছয়। এ বার তা বেড়ে হতে চলেছে দশ। রাজ্যের শাসক দলের নেতার সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে। যার প্রভাব নিয়ে জোর জল্পনা ক্রিকেটমহলে। সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য যে ১২১টি অনুমোদিত ক্লাব, সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মনোনয়ন পেশ করেছেন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রবিবারের সভায় নির্বাচিত হতে চলেছেন, সেই দলে রয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের দশ নেতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৪ ০৩:০৯

গত বার সংখ্যাটা ছিল ছয়। এ বার তা বেড়ে হতে চলেছে দশ। রাজ্যের শাসক দলের নেতার সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে। যার প্রভাব নিয়ে জোর জল্পনা ক্রিকেটমহলে।

সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভার জন্য যে ১২১টি অনুমোদিত ক্লাব, সংস্থা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি মনোনয়ন পেশ করেছেন ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রবিবারের সভায় নির্বাচিত হতে চলেছেন, সেই দলে রয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের দশ নেতা। গত বার যে ছ’জন ছিলেন, এ বার তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অরূপ রায় এবং হুগলির বিধায়ক অসিত মজুমদার। কোনও অঘটন না ঘটলে রবিবারের সভায় তাঁদের মনোনয়নে শিলমোহর পড়বে। এ ছাড়া গত বার ওয়ার্কিং কমিটি ও বিভিন্ন সাব কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, সেই অরূপ বিশ্বাস, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি, মুকুল রায়, সুব্রত বক্সী, সৃঞ্জয় বোস, ও শীলভদ্র দত্তরা এ বারও থেকে যাচ্ছেন।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্ল ও প্রণব রায় বঙ্গ ক্রিকেটের প্রশাসনে যেখানে এই তিন প্রাক্তন ও বর্তমান প্লেয়ার, সেখানে রাজনৈতিক নেতার সংখ্যা দশ। এই বিতর্কে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। সিএবি-তে অন্য ক্লাবের প্রতিনিধিরাও অনেকে উদ্বিগ্ন। সিএবি কর্তারা অনেকে অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, এর ফলে সরকার পক্ষের সঙ্গে সিএবি-র দূরত্ব কমবে। ক্রিকেটের উন্নতির কাজে অনেক বেশি সরকারি সাহায্যও পাওয়া যাবে। আর একটি যুক্তি হল, এত রাজনৈতিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে ক্রিকেটের আরও ক্ষতি হবে।

যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “আমার বিশ্বাস, যাঁরা খেলাটাকে ভালবাসেন, তাঁরাই সিএবি-তে আসেন। তাই ওঁরা রাজনীতির লোক হলেও বাংলার ক্রিকেটে উন্নতিতে সাহায্য করবেন।” কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-র ভাবনা কিছুটা অন্য রকম। তাঁর বক্তব্য, “গণতন্ত্রে সবই হয়। হাওয়াই চটি পরে ঘুরে দেশের প্রধানও হওয়া যায়। ক্রিকেট সুন্দরী মহিলাদের মতো। সবার নজর তাই তার দিকেই। ফলে অন্য খেলাগুলোর চেয়ে ক্রিকেটে আগ্রহ অনেক বেশি। সামাজিক প্রতিপত্তি বাড়াতে অনেকে সিএবি-তে আসতে চাইছে বলে আমার ধারণা। এতে ক্রিকেটের ক্ষতি হলে সিএবি তার মোকাবিলা নিশ্চয়ই করবে।” বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা অনেকেই এতে বিরক্ত। তবে তা প্রকাশ করে শাসক দলকে চটাতে চান না তাঁরা।

cab committee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy