আইএসএলের আগে কোনও ভাবেই যুবভারতীর মাঠের সংস্কার করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য যুবভারতী সংস্কারের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা দেখার জন্য নভেম্বরে ফিফার প্রতিনিধি দল আসছে। তারা সন্তুষ্ট না হলে বিশ্বকাপের ম্যাচ কলকাতায় হবে না। ফিফার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ এসেছে, যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাসের মাঠ তুলে ঘাসের মাঠ তৈরি করার জন্য। ক্রীড়ামন্ত্রীর দাবি, “স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠ তুলে ঘাসের মাঠ তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে। ২০১৭-তে জুনিয়র বিশ্বকাপ শুরুর আগে মাঠের সংস্কারের জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যাবে।” ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত-ও বললেন, “ফিফার প্রতিনিধি দল আবার মাঠ পরিদর্শন করতে আসছে নভেম্বরে। তাদের দেখাতে হবে, স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু একটি টুর্নামেন্টের জন্য কৃত্রিম ঘাস তোলা যায়নি। সেটা করে দেওয়া হবে।” তবে ক্রীড়ামন্ত্রী বা ফেডারেশন কর্তা যাই বলুন, মাঠের সংস্কার না হলে বাংলায় বিশ্বকাপ হওয়া কঠিন।
শুক্রবার আইএসএলের লিগ পার্টনার আটলেটিকো কলকাতার দুই মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং উৎসব পারেখ এ দিন যুবভারতী পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। পরে ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে সৌরভদের তরফ থেকে কতগুলি প্রস্তাব দেওয়া হয়
১) আইপিএলের সময় ইডেনকে যে ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়, সে রকম ভাবেই যুবভারতীকে সাজিয়ে তোলা হোক।
২) নম্বর-সহ পঁচিশ হাজার রঙিন বাকেট চেয়ার বসানো হোক।
৩) ইডেনের কর্পোরেট বক্সের মতো যুবভারতীতেও কর্পোরেট বক্স তৈরি করতে হবে।
৪) ভিআইপি বক্সের সংস্কার করা দরকার।
৫) ড্রেসিংরুমের সংস্কার অবশ্য আইএসএল কর্তাদের করার কথা।
৬) দর্শকদের সুবিধের কথা মাথায় রেখে মাঠ থেকে বেরোনোর দরজার সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৭) সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর কোনও টুর্নামেন্ট বা জলসার জন্য যুবভারতী ভাড়া দেওয়া চলবে না।
৮) স্টেডিয়ামের সর্বত্র আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী সব রকম সাহায্যেরই আশ্বাস দিয়েছেন সৌরভদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy