—ফাইল চিত্র।
খোদ প্রধান শিক্ষিকাকে আদালতে হাজির করাতে হবে পুলিশ সুপারকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ।
আগামিকাল, সকাল সাড়ে দশটায় বিচারপতি শরাফের আদালতে আমদি বি এম গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিকে হাজির করাবেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আদালতের তরফে এর আগে বারবার তলব করা হয়েছিল দু’জনকে। কিন্তু তাঁরা হাজির হননি। সেই কারণেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
ঘটনার সূত্রপাত ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত ছাড়পত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি) দেওয়া নিয়ে। আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, তাঁর মক্কেল সারদা সাহানা ওই স্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। তিনি যমজ সন্তানের মা। স্কুল তাঁর বাড়ি থেকে ১৪৪ কিলোমিটার দূরে। তাই বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলি চাইছেন তিনি।এ ক্ষেত্রে শিক্ষিকাকে স্কুল পরিচালন সমিতির ‘এনওসি’ নিতে হয়। তার পরে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে বদলির আবেদন জানাতে হবে। স্কুল পরিদর্শক আবেদন শিক্ষা দফতরে পাঠালে তারা বদলির বিষয় বিবেচনা করবে।
আইনজীবী জানান, ওই শিক্ষিকাকে পরিচালন সমিতি জানিয়ে দেয়, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা নেই। তাই ‘নো-অবজেকশন’ দেওয়া যাবে না। উপায় না দেখে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলায় যুক্ত করা হয় স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকাকে। হাইকোর্টের বিচারপতি শরাফের আদালতে জুলাই মাসের শেষে প্রথম শুনানি হয়। ওই দিন সভাপতি, প্রধান শিক্ষিকা বা তাঁদের আইনজীবী কেউই আদালতে হাজির ছিলেন না। পরের শুনানিতেও তাঁরা হাজির না থাকায় বিচারপতি আদালতের এক রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকা বা তাঁদের আইনজীবীকে যে আদালতে হাজির থাকতে বারবার বলা হচ্ছে, তা তাঁদের জানিয়ে দিতে। ২১ অগস্টের শুনানিতে রেজিস্ট্রার আদালতে জানান, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও প্রধান শিক্ষিকা ও সভাপতি হাজির না হওয়ায় জেলার এসপি-কে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy