Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুরোদমে কাজ বন্দরে

বন্দরে কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই গত শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি জটিল হয়েছিল।

Cap: বন্দরে শুরু হয়েছে মাল খালাস।

Cap: বন্দরে শুরু হয়েছে মাল খালাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০১:০০
Share: Save:

করোনার জেরে উদ্ভূত অচলাবস্থা কাটিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হল হলদিয়া বন্দরে। মঙ্গলবার থেকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও জোরদার করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দরে কর্মরত এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই গত শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি জটিল হয়েছিল। দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত ওই যুবক কর্মসূত্রে বন্দরে অবাধে ঘোরাফেরা করেছেন, এই তথ্য জানাজানির পরেই শ্রমিকরা আতঙ্কিত হন। তাঁরা কাজে যোগ দিতে বেঁকে বসেন। শুক্রবার সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের যাবতীয় কাজ। এমনিতেই পেট্রোল, ন্যাপথা ও কয়লা জাতীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য কোনও পণ্যই লকডাউন চলাকালীন ওঠানো-নামানো হচ্ছিল না। শুক্রবার থেকে ওই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত জট কাটাতে মাঠে নামেন জেলাশাসক। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ এবং হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামলকুমার আদক ও বন্দর আধিকারিক অভয় মহাপাত্র হলদিয়া বন্দর পরিদর্শনে আসেন। শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই গোটা বন্দর জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে । সেই ছবিগুলিও শ্রমিকদের মোবাইলে পাঠানো হয়। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। তারপর সোমবার দুপুর থেকে কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। আংশিকভাবে সচল হয় হলদিয়া বন্দর। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুরোদমে বন্দরে কাজ শুরু হয়ে যায়। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি জাহাজ থেকে লোডিং আনলোডিং এর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক শ্রমিকের বাইরে যাতায়াতের তথ্য (ট্রাভেল হিস্ট্রি) খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থার্মো স্ক্যানার দিয়ে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কাজও চলছে। সেই সঙ্গে বন্দরের তরফে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বন্দরের আধিকারিক অভয় মহাপাত্র জানান, শ্রমিকদের কথা দেওয়া হয়েছিল যে তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি নজরে রাখা হবে। সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং খাবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus West Bengal Haldia Port
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE