রাজ্যে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ছবি—পিটিআই।
আরও তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলল এ রাজ্যে। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের কাছে ওই তিন জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। আগেই দু’জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। রাতের দিকে উত্তরবঙ্গে আরও এক জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন ওই আক্রান্ত। এই নিয়ে রাজ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলল।
এ দিন যে দু’জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে, তাঁরা এগরার হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দু’জনেরই লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই দু’জনকে এগরা থেকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে নয়াবাদের এক বৃদ্ধ পঞ্চসায়রের হাসপাতালে করোনাআক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তিনি গত ১৩ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই বিয়েবাড়িতে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেককেই কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। কয়েক জনকে রাখা হয়েছিল আইসোলেশনে। এ দিন তাঁদের দু’জনেরই করোনা পজিটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার ওই বিয়েবাড়িতে যাঁরা নিমন্ত্রণরক্ষা করেছিলেন, তাঁদের একটা বড় অংশই তাদের নজরে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তেহট্টের ওঁদের সঙ্গে কারা ছিলেন লালগোলা প্যাসেঞ্জারে, জোর তালাশ
রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন লন্ডনফেরত এক তরুণ। দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণও লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। তৃতীয় আক্রান্ত তরুণী ফিরেছিলেন স্কটল্যান্ড থেকে। এর পর দমদমের এক প্রৌঢ়ের শরীরে মেলে করোনাভাইরাসের প্রমাণ। চতুর্থ আক্রান্ত এই ব্যক্তি পরে সল্টলেকের একটি হাসপাতালে মারা যান।
এর পর করোনাভাইরাসের প্রমাণ মেলে দ্বিতীয় আক্রান্ত তরুণের বাবা-মা এবং এক পরিচারিকার শরীরে। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় পাঁচ, ছয় এবং সাত নম্বরে ছিলেন তাঁরা। আট এবং নয় নম্বরে ছিলেন মিশর এবং লন্ডনফেরত দু’জন। এর পর নয়াবাদের এক বৃদ্ধের শরীরে করোনাভাইরাস মেলে। তিনি ছিলেন ১০ নম্বরে। এর পর শুক্রবার তেহট্টের পাঁচ জনের শরীরে মেলে করোনাভাইরাস। শনিবার এই দু’জনের করোনা ধরা পড়ায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ১৭-য়।
আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে এগিয়ে এলেন রতন টাটা
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ১০ হাজার জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। সে দিকেও নজর রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy