ফাইল চিত্র।
লকডাউন শেষে রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অন্তত এক মাস পরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। শনিবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শিক্ষাবর্ষ এবং পরীক্ষা নিয়ে গাইডলাইন পাঠিয়েছিল। উপাচার্যেরা ওই গাইডলাইনের উপরে তাঁদের মতামত দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে বেশির ভাগ উপাচার্যই পরীক্ষা হওয়ার দিকে মত দেন। ফাইনাল সিমেস্টার এবং চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা কী পদ্ধতিতে হবে, তা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ই স্থির করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই পরে ঠিক করবে অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা কী ভাবে হবে। শিক্ষা জগতের একাংশের বক্তব্য, এ দিনের বৈঠকে ইউজিসির গাইডলাইনকেই কার্যত মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আশা করি লকডাউন কেটে গেলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ খুলবে, তার এক মাসের মধ্যে অ্যাকাডেমিক সেশন-সহ সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ যাদবপুর এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাস খানেক সময় প্রয়োজন বলে মন্ত্রীকে জানিয়েছেন। এমনও কথা উঠে আসে, উপাচার্য পরিষদ পরীক্ষা পদ্ধতি এক ভাবে ঠিক করবে। কিন্তু দেখা যায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অভিন্ন নয়।
সূত্রের খবর, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি কলেজে এ বার পরীক্ষার সময় হোম সেন্টার হবে। পরীক্ষার্থীদের অন্য কলেজে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা এক টানা না-হয়ে ধাপে ধাপে হবে বলে ঠিক হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ক্যাম্পাসে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতেই হবে। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে নির্দেশিকাও প্রকাশ করবে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy