পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
দূরদর্শনের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত বাতিল করল শিক্ষা দফতর। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সময়ের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাবে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে। তবে শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার যে পরিকল্পনা হয়েছিল, তা চলবে। শনিবার এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল প্রতি দিন বিকেল ৪টে থেকে ৫টা দূরদর্শনে, ডিডি বাংলা চ্যানেলে এই ‘শ্রেণিকক্ষ শিক্ষা’ চলবে। ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’-এ যে ভাবে পঠনপাঠন চলে, সেই ভাবেই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ দিন তিনি বলেন, “বিভিন্ন মহল থেকে যা খবর পাচ্ছি, তারই ভিত্তি ওই সময় ক্লাসের নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকেরা যে সময় চাইছেন, শিক্ষকেরা যে সময় চাইছেন, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় দূরদর্শনে যে স্লট নিয়ে পড়াশোনর চালানোর কথা ভাবছিলাম, তা স্থগিত রাখলাম। তবে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অথবা অন্যান্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বহাল থাকবে।”
আরও পড়ুন: করোনা আবহে আগামী ৮ এপ্রিল সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক নরেন্দ্র মোদীর
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদেরও ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ দেওয়া হবে। ৬ এপ্রিল থেকে বাংলা শিক্ষা পোর্টালে (https://banglarshiksha.gov.in) বা এডুকেশন হেল্পলাইনে (১৮০০১০২৮০১৪) ফোন করে সব শ্রেণির জন্য মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়া যাবে। শিক্ষকেরা প্রয়োজনে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবর্তন করে এসএমএস, ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। কোনও অবস্থাতেই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে না।
আরও পড়ুন: নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১১, এই মুহূর্তে মোট আক্রান্ত ৪৯
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, তাঁরা যেন এসএমএস, ফোন, ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy