মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
শরীর ‘ফিট’ রাখা তাঁর কাছে নেশার মতো। তাই হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে প্রতিদিন তাঁর অনেকটা সময় শরীরচর্চায় বরাদ্দ থাকে। বেশিটাই হাঁটা। ঘরে বাইরে হাঁটার বাইরেও নানা রকম শারীরিক কসরতে তিনি সাবলীল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ফিটনেস ডে’-তে তাই এক শীত-সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাডমিন্টন খেলার ভিডিও আপলোড হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তৈরি ‘আমার গর্ব মমতা’ পেজে শাড়ি পরে তাঁর ব্যাডমিন্টন খেলার ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশন, ‘৬৩ বছর বয়সেও দিদি খেলছেন’। মমতা যে ফিটনেস সচেতন এবং দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমজনতাকেও শরীর ঠিক রাখতে সব সময় পরামর্শ দেন, সে কথাও লেখা হয়েছে ওই ভিডিওর সঙ্গে। লেখা হয়েছে, ‘‘এই বয়সেও দিদি কত ফিট। কখনও দেখেছেন কোনও নেতাকে যিনি খেলাধুলোয় উৎসাহই শুধু দেন না, নিজে খেলেনও?’’
রোজ অন্তত ১২-১৪ কিলোমিটার হাঁটেন মমতা। কিছুটা ট্রেডমিলে, কিছুটা হাঁটাপথে। নবান্নে তাঁর ঘরে কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই টেবিল ঘিরে ঘুরে ঘুরে হেঁটে নেন। বিধানসভায় গেলে সেখানে বাগানে কয়েক পাক হাঁটেন। জেলায় গেলে, এমনকী বিদেশসফরেও হাঁটার কর্মসূচি তাঁর বাঁধা। শুধু তাই নয়, দার্জিলিঙের পাহাড়ি পথ বা জঙ্গলের রাস্তাতেও হাঁটতে তিনি সাবলীল।
এ দিন জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে টুইটারে মমতা লিখেছেন, ‘‘খেলাধুলোর সাথে বরাবরই বাংলার আত্মিক যোগ। রাজ্য সরকার খেলাধুলোর পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য স্কুল, কলেজ, ক্লাব ও সংস্থাকে আর্থিক সহায়তা করে।’’ টেনিস-তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে টেনিস র্যাকেট হাতে নিজের ছবিও দিয়েছেন মমতা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ১০ হাজার পা হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে শুনে শরীর সচেতন মমতার প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘‘যাঁদের পরামর্শে শরীর ফিট রাখার জন্য এত উদ্যোগ, তাঁরা আগে নিজেদের মনের ফিটনেস ঠিক করুন। অসুস্থ গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে দেশবাসীকে শান্তি দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy