যাত্রারম্ভে: হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
তিন দিনের বীরভূম জেলা সফর শেষে শুক্রবার ফিরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন দুপুর পৌনে একটা নাগাদ রাঙাবিতান থেকে তিনি গাড়ি করে বেরিয়ে যান। তাঁকে দেখতে রাস্তায় উৎসাহী জনতার ভিড় ছিল। বিশ্বভারতী পল্লিশিক্ষা ভবনের মাঠের হেলিপ্যাডে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। এর পরে দুপুর একটা নাগাদ হেলিকপ্টারে ফিরে যান।
বুধবার বোলপুরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। বুধবার গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক হয়। বৈঠক সেরে রাঙাবিতানে ফিরে যান। বৃহস্পতিবার ইলামবাজারে সভা করেন। সেখানে একগুচ্ছ বিষয়ে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সেই মঞ্চ থেকেই জয়দেবের লোক ও বাউল উৎসবের সূচনা করে দেন। এর পর আবার আমার কুটির সংলগ্ন রাঙাবিতানে ফিরে যান।
প্রতিদিনই যাওয়া-আসার পথে তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়লেও তিনি আসবেন বলে আশা করেছিলেন খোয়াইয়ের ব্যবসায়ী এবং কঙ্কালীতলার স্থানীয়েরা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিনই খোয়াই হাটে পর্যটকদেরও থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই বুঝি মুখ্যমন্ত্রী এলেন, এই উৎকণ্ঠা নিয়ে অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু, তিনি না আসায় আশাহত হন তাঁরা। অনেকে ভেবেছিলেন, শুক্রবারের জন্য কোনও পূর্ব ঘোষিত সূচি যেহেতু নেই এবং তিনি যেহেতু থেকে গিয়েছেন সুতরাং যাওয়ার আগেও একবার অন্তত ঘুরে যাবেন। যদিও তেমনটা হয়নি। তাই আরও একবার তাঁকে দেখার জন্য রাস্তার মোড়ে ভিড় হয়। ফিরে যাওয়ার দিনও আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। রাঙাবিতান থেকে বেরিয়ে আসার কিছু আগেই আশেপাশের এলাকা ‘ডিপ সার্চ মেটাল ডিটেক্টর’ এবং ‘নন লাইনার জাঙ্কশন ডিটেক্টর’ দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই মেশিন দুটির সাহায্যে মাটির নীচে কোনও ধাতু কিংবা বিস্ফোরক রয়েছে কি না, তার সঙ্কেত পাওয়া যায়। বিশেষ করে ক্যানালের নীচে পরীক্ষা করা হয়। এ দিনও প্রত্যেক মোড়ে, এমনকি জঙ্গলের ভিতরেও পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা ছিলেন। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, এই মাসের শেষ দিকেই তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে আসার কথা রয়েছে তাঁর। যদিও তা নিয়ে এখনই কেউ মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy