সুনসান: ভাঙচুরের পরে বাজার এলাকা। শনিবার পাথরপ্রতিমায়। নিজস্ব চিত্র
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতির সভা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলের এক কর্মী। তাঁকে বিজেপির লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ বেধে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার জি প্লট এলাকার ইন্দ্রপুর বাজারে। শুক্রবার রাতের গোলমাল থামাতে গিয়ে জখম হয়েছেন ৩ পুলিশ কর্মীও। জখম হয়েছেন দু’পক্ষের জনা দশেক কর্মী-সমর্থক। বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর হয়েছে। ভাঙা হয়েছে মোটরবাইক, সাইকেল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সভা শেষ করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সে সময়ে শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মাইতির মোটরবাইক আটকায় বিজেপির কিছু লোক। শুরু হয় মারধর। ভাঙচুর করা হয় কার্তিকের মোটরবাইক।
এর পরেই দু’পক্ষের মারপিট বেধে যায়। ১০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। গোটা দশেক মোটরবাইক, ৪০টি সাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। জখম হয়েছেন ওসি-সহ আরও দুই পুলিশ কর্মী। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থলে যান সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার ভৈরব তেওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে
গিয়ে আমাদের তিন কর্মী জখম হয়েছেন। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’’
গোলমালের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, ‘‘আমাদের ছ’জন কর্মী জখম হয়েছেন।’’ বিজেপির ১৪ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের প্রায় জনা দশেক কর্মী জখম হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy