অন্যান্য বিষয়ে যা-ই হোক, শিক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এত মামলা কেন, এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। প্রশাসনের তরফে এর সদুত্তর মিলছিল না। তবে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পেনশন, গ্র্যাচুইটি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে কত মামলা হয়েছে, তার সবিস্তার রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে শিক্ষা দফতরে পাঠাতে হবে সব জেলার স্কুল পরিদর্শককে। এক দিন দেরি হলেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হবে।
সল্টলেকে ইস্টার্ন জ়োনাল কালচার সেন্টার (ইজ়েডসিসি)-এ স্কুলশিক্ষা বিভাগের রাজ্য পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, তিন-চার হাজার মামলা বকেয়া। তার ৬০ শতাংশ আগের আমলের। আইনবিদদের পরামর্শ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যদি সেগুলো মেটানো যায়, সেটা আমরা দেখব।’’ তিনি জানান, সব শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী যাতে ঠিক সময়ে অবসরকালীন সুবিধা পান, সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকেরা নিজেদের কাজের খতিয়ান দেন। মন্ত্রী তাঁদের প্রশ্ন করেন, ‘‘এত সাফল্যের খতিয়ান দিচ্ছেন, ভাল কথা। কিন্তু জেলায় যে এত মামলা পড়ে রয়েছে, সেই বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?’’ তিনি জানান, যথাযথ পরিকাঠামো সহযোগে ইংরেজি স্কুল তৈরি করতে হবে। ধমকের সুরে তিনি পরির্দশকদের বলেন, ‘‘সাফল্যের কথা পাঁচ লাইন বলুন, আর সমস্যার কথা বলুন দশ লাইন। স্কুলে চেয়ার-টেবিল ঠিক আছে তো? মিড-ডে মিল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। কোথায় জল বা শৌচালয়ের অভাব আছে, কোথায় বিদ্যুৎ নেই, তালিকা করে শিক্ষা দফতরে জানান।’’
মন্ত্রী জানান, যেখানে অতিরিক্ত শিক্ষক আছেন, সেখান থেকে অন্যত্র শিক্ষক বদলি করা হবে। তবে বদলির নতুন আবেদন এখন নেওয়া হবে না। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সাঁওতালি ভাষার ২৮৪ জন শিক্ষক নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy