মোজাম্মেল। —নিজস্ব চিত্র।
চিয়ার লিডার চাই?
মুশকিল আসান মোজাম্মেল। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্রিকেট-ফুটবলের আসরে পাঠিয়ে মোটা টাকা রোজগার ছিল তার। মেয়েদের প্রতি দুর্বলতাও কম ছিল না বছর পঞ্চাশের মোজাম্মেলের। কয়েক মাস আগে চিয়ার লিডার হিসাবে এক তরুণীকে কাজ দেওয়ার নাম করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
এসএসবি জওয়ানের গুলিতে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে দুই জওয়ান ছাড়াও মোজাম্মেলকে ধরেছে পুলিশ। সরিষাহাটের যে তিনতলা বাজারের ঘরে গুলি চলেছিল, সেটি মোজাম্মেলেরই। সেখান থেকে অসামাজিক কাজকর্ম চলত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। জুয়া-সাট্টার আড্ডা বসত। বহু অচেনা মুখের আনাগোনা ছিল। কিশোরী, তরুণীদেরও আনাগোনা ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। বাজারের ঘরে দেহব্যবসা চলত বলে সন্দেহ তাঁদের। সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গুলিতে মৃত আলতাফ জমাদার দাগি দুষ্কৃতী। তার সঙ্গে মোজাম্মেলের দহরম-মহরম ছিল। এলাকার আরও কিছু দাগি দুষ্কৃতীর সঙ্গেও ওঠাবসা ছিল।
পুরনো নোট বদলের বেআইনি কারবারের হদিস করতে এসএসবি কম্যান্ডান্ট দীপককুমার সিংহ এক সহকর্মীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সরিষাহাটে হাজির হন বলে তাঁর দাবি। পুলিশকে খবর দিলেও দফতরের কাউকে অবশ্য সে কথা জানাননি। ধরা পড়ার পরে দীপক পুলিশ কর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট কাজের বাইরে গিয়ে ‘কৃতিত্ব’ দেখাতে পারলে তারিফ মিলত। তা ছাড়া, পদোন্নতির আশাও ছিল। এমন কাজ তিনি নাকি আগেও করেছেন। তবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই সরিষাহাটে যাবেন বলে ভেবেছিলেন দীপক। খবর আসে, আলতাফরা সরে পড়তে পারে। তাই পৌঁছে যান এলাকায়। দীপকের দাবি, তাঁর কাছে থাকা ২ লক্ষ টাকা কেড়ে নিতে চেয়েছিল আলতাফ। বচসা বাধে। আলতাফ গুলি চালায়। আত্মরক্ষার জন্যই পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে দাবি ওই জওয়ানের। দুষ্কৃতীদের ‘টোপ’ দিতে আত্মীয়-বন্ধুদের কাছ থেকে তিনি ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করেছিলেন বলেও দাবি ধৃত এসএসবি কম্যান্ডান্টের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy