অবরোধ: ধনেখালির ফিডার রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর দে
রাস্তার মোড়ে মোড়ে জ্বলছে টায়ার। লোকজন উধাও। আতঙ্কে দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ। বন্ধ বহু বাড়ির দরজা-জানলা। মাঝেমধ্যে উড়ে আসছে কাঁদানে গ্যাসের শেল।
‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল আকচাআকচি নতুন নয়। এ বার সেই ধ্বনি ঘিরে ধুন্ধুমার হল হুগলির গুড়াপে। বুধবার দুপুরে গুড়াপের বাথানগড়িয়া গ্রামে বিজেপি একটি ‘বিজয় উৎসব’ করে। সেখানে ওই ধ্বনি ওঠে। তারপরেই রাত থেকে তেতে ওঠে ওই এলাকা।
ওই ধ্বনি দেওয়ার জন্য রাতে বিজেপি সমর্থক সাধন বাউল দাসের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে টাঙি, শাবল ও কুড়ুল দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সাধনবাবুকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশের একটি ভ্যান ওই গ্রামে রওনা হয়। পথে সাঁতুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে এক মোটরবাইক আরোহীর রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা হয়। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় পুলিশকর্মীরা বিনা প্ররোচনায় তাঁদের সমর্থক জয়চাঁদ মালিককে লক্ষ করে গুলি চালায়। জয়চাঁদের বুকে গুলি লাগে। তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের ঝামেলায় পরিচিত কয়েকজনকে সরাতে গিয়ে হঠাৎই আমার বুকে গুলি লাগে। গুলি কে চালিয়েছিল, দেখিনি।’’
জয়চাঁদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথায় গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে গেলে পুলিশকর্মীদের আটকে রাখা হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পুলিশ বাহিনী ওই গ্রামে রাতে ঢুকে আটক পুলিশকর্মীদের ছাড়িয়ে আনে। তার পরেও গোলমাল থামেনি। দোষী পুলিশ এবং অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাস্তি চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ধনেখালির ফিডার রোডে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। মোড়ে মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। আতঙ্কে দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যেই কয়েকশো গ্রামবাসীকে নিয়ে বিজেপি নেতারা গুড়াপ থানা ঘেরাও করতে যান। পুলিশ থানার সামনে ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকায়। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কেউ জখম না-হলেও পুলিশ প্রাথমিক ভাবে পিছু হটে। শেষে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy