প্রতীকী ছবি।
করোনার টিকা এলে প্রথম দফায় রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের স্বাস্থ্য কর্মীরা তা পাবেন। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মী এবং সামনের সারির কর্মচারীদের জন্য ছ’লক্ষ টিকা চাওয়া হয়েছে। নবান্নর প্রথম পর্যায়ে ছ’লাখ টিকার দাবি কেন্দ্রীয় সরকারও মেনে নিয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের কাছে প্রথম দফায় কী সংখ্যক টিকা প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছিল। সে সময় স্বাস্থ্য ভবন জানিয়ে দিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ধরে হিসাব না চাইলে টিকার প্রয়োজনীয়তা বিচার করা সম্ভব নয়। কেন্দ্র বরং জানাক, প্রথম দফায় ঠিক কত টিকা বরাদ্দ করতে পারবে। কাদেরই বা টিকা দেওয়া হবে। তার পরেই সরকার টিকার দাবি জানাবে। তার পরেই কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, প্রথম দফায় সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্সসহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী এবং হাসপাতাল-নার্সিং হোমে কর্মরত প্রথম সারির(ফ্রন্টলাইন) কর্মীদের টিকাকরণ করতে চায়। সেই হিসাবে রাজ্য সরকার ৬ লক্ষ টিকার দাবি করেছে। যদিও রাজ্যের সরকারি ক্ষেত্রে দু’লক্ষের বেশি স্বাস্থ্য কর্মী নেই। বেসরকারি ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা আরও এক লক্ষ হতে পারে। রাজ্য যদিও দ্বিগুণ সংখ্যক টিকা চেয়ে রেখেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছেন।
স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, কোভিড হাসপাতালে এখন পাকা চাকরির স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়াও অনেকে কাজ করছেন। সেফ হোমেও অনেকে কাজ করছেন। কোভিড পরিষেবাদানকারীর সংখ্যাও কম নয়। ফলে সব মিলিয়ে যারা ফ্রন্ট লাইনে থেকে করোনা মোকাবিলার কাজ করছেন তাঁদের সকলকেই টিকা দিতে হবে। সে সব মাথায় রেখেই ৬ লক্ষ টিকার দাবি করা হয়েছে।
কোল্ড চেনের পরিকাঠামো নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে প্রস্তুত হতে বলেছিল। নবান্নের দাবি, ১১ কোটির রাজ্যে পালস পোলিও টিকাকরণের জন্য দেড় কোটি টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। সেই পরিকাঠামো বাড়িয়ে যাতে যে কোনও সময় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাজ্য থেকে ব্লক পর্যন্ত ১০ কোটি টিকা সংরক্ষণ করে রাখা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক কর্তা জানাচ্ছেন, টিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে পরিকাঠামো তৈরি। কেন্দ্রীয় সরকার টিকা ধাপে ধাপে পাঠাতে শুরু করলেই টিকাকরণও শুরু হবে। তবে কবে থেকে কোন টিকা প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার পাঠাবে বা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy