প্রতীকী ছবি।
টলিউডে বিজেপি সংগঠন গড়ছে বলে শনিবারই দাবি করেছিলেন তাঁদের নেতারা। ২৪ ঘণ্টা না যেতেই রবিবার টলিউডে বিরাট জমায়েত করে তৃণমূলের নেতারা দাবি করলেন, স্টুডিয়োপাড়া তাঁদেরই সঙ্গে। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ব্যানারে ওই সভা হয়। এটা ডাকা ছিল এক মাস আগেই। কিন্তু লোকসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে সভা কী আকার নেবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এ দিন সভা থেকে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস সকলেই এক বাক্যে ঘোষণা করেন, তাঁদের সংগঠনে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তা তাঁরা ঢুকতেও দেবেন না। কোথাও কোনও চিড়ও ধরেনি।
সভায় না থাকলেও বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নতিতে কলাকুশলীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, যে অসাধারণ ঐতিহ্য ও পরম্পরার জন্য সারা পৃথিবীর কাছে বাংলা সিনেমা আজ সমাদৃত, তাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে ও আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ফেডারেশনের সদস্যরা আগামী দিনেও যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।’’
ফেডারেশনের এ দিনের সভায় যোগ দেন গায়ক ও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, প্রযোজক, টিভি চ্যানেল এবং টেকশিয়ানদের প্রতিনিধিরা। সভায় যায়নি শুধু ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার আর্টিস্ট ফোরাম। যদিও অরূপবাবুর বক্তব্য, এই সভায় আর্টিস্ট ফোরামের উপস্থিতি জরুরি নয়। কারণ সভাটি কলাকুশলীদের। আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই সভায় আলোচনার মতো অ্যাজেন্ডা আমাদের ছিল না। তা ছাড়া, চার পাশের অশান্ত পরিবেশে আমাদের সদস্যরা নিরাপদ বোধ করছিলেন না। আর ফোরাম কোনও দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতেও চায় না।’’
অরূপবাবু এবং স্বরূপবাবু এ দিনের সভায় রাজনীতির বাইরে থাকার বার্তা দিলেও বিজেপির টলিউডের সংগঠনের নাম না করে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘শুনলাম, একটা মঞ্চ তৈরি হয়েছে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই শুনবেন, ওটা অপসংস্কৃতির মঞ্চ।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy