বন্ধ: লোক নেই হিম্মতের পার্টি অফিসে। নিজস্ব চিত্র
কয়েকদিন আগেও শহরের দাপুটে নেতা ছিলেন হিম্মত ওরফে জয়প্রকাশ চৌহান। গ্রেফতারের দু’দিন পর থেকে চম্পাসারিতে তাঁর প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ অফিসারেরা। পুলিশ সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে হিম্মতের তৈরি পার্টি অফিসে তালা মারা। কবে তা খুলবে, তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছেন না। তবে, এখন চম্পাসারি বাজারে তৃণমূলের পুরনো পার্টি অফিসে ভিড় বাড়াচ্ছেন দলীয় কর্মীরা।
কেন এমন উল্টো চিত্র দুই অফিসের অন্দরে? এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, ‘‘এখন ভয়ে হিম্মতের অফিসে তাঁর অনুগামীরা পা বাড়াচ্ছে না।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতে নেতার গ্রেফতারির পরে হিম্মত অনুগামীরা প্রধাননগর থানায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে এনজেপি থানায় গেলে পুলিশ তাড়া করে সবাইকে এলাকা ছাড়া করে। সেই সময় ২টি গাড়ি এবং ৪টি মোটরবাইক রাস্তায় ফেলে পালান ধৃত নেতার অনুগামীরা।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, দু’দিন আগেও চম্পাসারি এলাকার পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। হিম্মতের দাপট কী তা এলাকার বাসিন্দারা জানতেন। তাঁকে না জানিয়ে ওই এলাকায় কেউ জমি, বাড়ি হাতবদল করতে পারতেন না বলে অভিযোগ। বেসরকারি জমি দখল করে প্লট করে বিক্রি বা সরকারি জমি হাতিয়ে মার্কেট কমপ্লেক্স করে তা বিক্রি করার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে হিম্মতের বিরুদ্ধে। হিম্মতের সঙ্গে সবসময় জনা পঞ্চাশ অনুগামীকে দেখা যেত।
স্থানীয়রা অনেকেই বলছেন, প্রতিদিন ওই পার্টি অফিসে হিম্মতের অনুগামীদের ভিড় লেগেই থাকত। সন্ধ্যার পরে রোজ রাতে পার্টি অফিস লাগোয়া নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে আসর বসত বলে শোনা যায়। এখন আর কারও দেখা নেই।
সোমবারও পুরোপুরি স্বাভাবিক শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকা। সমস্ত দোকানপাট খোলা। এলাকার প্রবীণ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘হিম্মতের গ্রেফতারের পরে ভীতি কাটছে। এলাকার পুরনো তৃণমূল নেতারাও ওর দাপটে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন।’’ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা জানান, হিম্মতের রমরমার সময়ে ওর তৈরি অফিসটাই প্রধান পার্টি অফিস হয়ে উঠেছিল।’’
গত শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল দিলীপ বর্মনের নাম। চূড়ান্ত তালিকার শেষ পর্যায়ে হিম্মতকে প্রার্থী করা হয়। শুধুমাত্র নাম ঘোষণার পরে কয়েকশো অনুগামীকে নিয়ে এলাকায় মিছিল করে দাপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল হিম্মতের বিরুদ্ধে। নেতানেত্রী, চিত্রতারকাদের ময়দানে নামিয়েও অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি হিম্মতের। সিপিএম প্রার্থীর কাছে হারেন হিম্মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy