ছবি: সংগৃহীত।
সময় লাগে লাগুক, কিন্তু ভুলত্রুটি এড়াতে হবে। তাই আবার পিছিয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণ। ওই তালিকা প্রকাশের জন্য নতুন দিন নির্ধারিত হয়েছে ৬ মার্চ, শুক্রবার।
ভোটার তালিকায় বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধনীতে আবেদনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি সময় বেঁধে দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সেই সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত করে তারা। আবেদন খুঁটিয়ে দেখে তার নিষ্পত্তি করে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা।
এখনও পর্যন্ত তাতে বদল হয়নি। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে দিন বদল হয়েছে। কারণ, শুরুতে স্থির হয়েছিল, রাজ্যের সর্বত্র ৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তা হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: শাসক ঘনিষ্ঠ সাদ্দাম, নালিশ রাজ্য বিজেপির
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা ধরেই পুরভোট করার কথা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। এই অবস্থায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালিকা পিছিয়ে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত। কারণ, কলকাতা পুরসভার ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যেই আছে মেটিয়াবুরুজ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, টালিগঞ্জ, যাদবপুর, কসবার মতো বিধানসভা কেন্দ্রও। ওই সব বিধানসভা কেন্দ্রের এলাকা মূলত কলকাতা পুরসভার মধ্যে অন্তর্গত। ফলে সেখানকার ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন পিছোনোর ফলে কলকাতা পুরভোটের প্রস্তুতিতে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। তাঁদের মতে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকায় প্রয়োজনে সংশোধনের কাজ করতে হয় রাজ্য কমিশনকে। ফলে ওই তালিকা প্রকাশ পিছোনোর ফলে সেই প্রয়োজনীয় সংশোধনীর কাজে ‘প্রভাব’ পড়তে পারে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
কেন এই সিদ্ধান্ত? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের মতে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এই কাজে দেরি হয়েছে জেলা প্রশাসনের। ওই তালিকা ধরে পুরভোট হবে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন ভোটার, সংশোধন এবং বিয়োজন মিলিয়ে প্রায় ১১ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy