Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বসন্ত-যুদ্ধ

কত তারা তব আকাশে! বসন্তের সেই রাতে যে আট তারকা-জুটি আর সুপার সাবস্টিটিউট হিসেবে স্বয়ং দাদা! আনন্দplus ক্যুইজের ময়দান। আর নেপথ্যে কত রং। কত রঙ্গ! লিখছেন নিবেদিতা দে।হাতে সুরাপাত্র, ঠোঁটে সিগারেট... অসতর্ক শাড়ির আঁচল... গলায় মুক্তো-হার... আর কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত...‘আমার প্রাণের ’পরে চলে গেল কে...’ ...গ্রীবা আকাশমুখী। সুখটানের ধোঁয়া বসন্তের বাতাসে উড়িয়ে, গল্ফ ক্লাবের টেরেসে তিনি যেন আজও ‘বসন্ত বিলাপ’-এর সেই ‘আমি মিস্‌ ক্যালকাটা...’ রাত তখন সাড়ে বারোটা।

‘জঞ্জির’য়ে প্রাণের নাম কী ছিল?
ক্যুইজমাস্টার সৃজিতের প্রশ্নের সামনে দাদা

‘জঞ্জির’য়ে প্রাণের নাম কী ছিল? ক্যুইজমাস্টার সৃজিতের প্রশ্নের সামনে দাদা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৪ ২১:৪৮
Share: Save:

হাতে সুরাপাত্র, ঠোঁটে সিগারেট... অসতর্ক শাড়ির আঁচল... গলায় মুক্তো-হার... আর কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত...‘আমার প্রাণের ’পরে চলে গেল কে...’

...গ্রীবা আকাশমুখী। সুখটানের ধোঁয়া বসন্তের বাতাসে উড়িয়ে, গল্ফ ক্লাবের টেরেসে তিনি যেন আজও ‘বসন্ত বিলাপ’-এর সেই ‘আমি মিস্‌ ক্যালকাটা...’ রাত তখন সাড়ে বারোটা।

অপর্ণা সেন। ক্যুইজ শেষের পার্টিতে গোল টেবিলের মধ্যমণি। সাদা-কালো কম্বিনেশনের শাড়িতে এসে রঙিন ভাবে লুটেপুটে নিলেন নিশি-নির্যাস।

জানতে চাইলাম, পরের ছবি তো ‘রোমিও-জুলিয়েট’-এর উপর... ‘রোমিও’ হচ্ছেন দেব, তা জুলিয়েট কাকে ভাবছেন? অপর্ণা জানালেন, “জুলিয়েট খোঁজা কি অত সোজা...এখনও খুঁজে পাইনি।”

***

বৃহস্পতিবার রাতের ক্যুইজ শেষের গল্ফ ক্লাবের পার্টিতে টেরেসের এক প্রান্তের গোল টেবিলে যখন অপর্ণা-বিদীপ্তা-সুদীপ্তা-বিরসা-ঊষসী-সুদেষ্ণারা টেবিল বাজিয়ে গান জুড়েছেন, তখন কোনাকুনি আর এক টেবিলে সদ্য ক্যুইজ-আসর জিতে ওঠা রাইমা সেনের সঙ্গে দারুণ খুনসুটিতে পরমব্রত, সৃজিত, কৌশিক।

রসিকতার মাঝেই রাইমাকে বললাম, ভোটে মা তো বাঁকুড়া থেকে প্রার্থী, তা আপনি কী ভাবছেন? রাইমার সাফ জবাব, “ওয়ান্ট টু গেট ম্যারেড... বিয়ে করতে চাই, ব্যস।”

ও দিকে পার্টির সুরা-সুরে মজে কৌশিক-পরম-সৃজিতরা এমন হাসাহাসি করছেন, যেন ক্যুইজে রাইমার উত্তর দিতে পারাটাই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! এমনিতেই মঞ্চে প্রশ্ন-পর্বে রাইমাকে সৃজিত বলেছিলেন, “বাব্বা! ‘চপল ভাদুড়ী’ নামটা কী করে ঠিকঠাক উচ্চারণ করলি রে রাইমা!”

ক্যুইজের মঞ্চে প্রশ্নটা ছিল, ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ ছবিতে ঋতুপর্ণ ঘোষের চরিত্রটি কার জীবন অবলম্বনে তৈরি? মঞ্চে সঠিক উত্তরই দিয়েছিলেন রাইমা। কিন্তু সৃজিতের টিপ্পনীর ‘বেঠিক’ উত্তরটা দিলেন পার্টিতে। কপট রাগে রাইমা বললেন, “তা হলে কী বলতাম আমি? চপ্পল ভাদুড়ী?”

রাতের পার্টিতে ছায়ার মতো যেন হঠাত্‌ রাইমার দিকে এগিয়ে এলেন ‘ছায়ামানুষ’ পরমব্রত। বললেন, “আচ্ছা, বল তো, ‘চোখের বালি’তে তোর ক্যারেক্টরটার নাম কী ছিল?” রাইমা বললেন, “কেন আশালতা!”

(কোরাসে: পেরেছে। পেরেছে।) কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “আচ্ছা, রাইমা, ‘আঁধি’তে তোর দিম্মার নাম কী ছিল জানিস?” রাইমা হাত উল্টে, “কী ভাবো আমায় আরতি দেবী।”

কে যেন পিছন থেকে বলে উঠলেন ওরে, ওকে আরও দু’টো ওয়াইন দে রে, আজ সব পারছে!

***

যতই হোক এটা একটা ক্যুইজ অনুষ্ঠান, আসলে যা হয়ে দাঁড়াল তারকাদের রি-ইউনিয়ন। সম্পর্কের যাবতীয় টানাপোড়েন ভুলে, কারেন্ট-আন্ডার কারেন্ট ‘খেলা’কে পিছনে ফেলে, সবাই যেন একই সমবায় সমিতির সদস্য। যাঁর নাম ‘ক্যামেলিয়া আনন্দplus বায়োস্কোপে বাজিমাত পাওয়ার্ড বাই রেনো’।

না হলে মঞ্চে ‘ফেয়ার প্লে’ ট্রফি না পাওয়ায় যখন বিস্তর রাগ করলেন ঋতুপর্ণা, তখন হাল্কা করে প্রসেনজিত্‌ কেন বলবেন, “উই শুড গ্রো আপ”! অন্য দিকে তাকিয়ে ঋতুপর্ণাই বা কেন বলবেন, “আমি ছেলেমানুষ হয়েই থাকতে চাই।” পাশে তখন ‘তুমি যে আমার’ জুটির রচনা। তাকালেন একবার। কিছু বললেন না।

ছবির বাইরে তৈরি হয়ে গেল ছোট্ট একটা মুহূর্ত। প্রসেনজিত্‌-ঋতুপর্ণাএক সময়ের জনপ্রিয় জুটি, আজ আর একসঙ্গে ছবি করেন না, কিন্তু ‘টান’ অনুভব করা গেল ওই ছোট্ট মুহূর্তেই! ক্যুইজ শেষে পার্টি শুরুর আগেই ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিত্‌ বেরিয়েও গেলেন পরপর দু’টি গাড়িতে। এ রকম ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্ত অগুন্‌তি।

যেমন স্টেজ থেকে নেমেই প্রসেনজিত্‌-রচনা নিজেদের মধ্যে অভিনয় করে দেখালেন, কী ভাবে কোয়েলের বর নিসপাল তাঁর শাশুড়ি দীপার পাশ থেকে স্প্রিংয়ের মতো উঠে গেলেন লজ্জা পেয়ে।

মুহূর্ত ঘিরে মুহূর্ত আরও।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রচনা-প্রসেনজিতের টিমে মঞ্চে দু’রাউন্ড খেলতে এসে প্রশ্নের বহর শুনে বলেই ফেললেন, “টাইগার পটৌডি একটা চোখে খেলেও টেস্ট অ্যাভারেজ ৩৫। আমার তো এখানে মনে হচ্ছে দুটো চোখই নেই... আমি যেটা খেলতাম সেখানে খেলতে না পারলে বাদ দেওয়া হয়। আমার মনে হয় এই সব গানের প্রশ্নে অনুপম (রায়) অনেক ভাল উত্তর দেবে, তাই আমি নিজেই নিজেকে বাদ দিচ্ছি।” হাসতে হাসতে সৌরভ নেমে গেলেন মঞ্চ ছেড়ে।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ঋতুপর্ণা-শতাব্দী-রচনাকে একসঙ্গে খোশগল্প করতে দেখে অনেকেই মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলেন। কিন্তু মঞ্চে যখন পার্টনার পছন্দের ‘আমি সখা ও সে’ রাউন্ডে শতাব্দী বেছে নিলেন রচনাকে আর রচনা নিলেন শতাব্দীকে, তখন তা হয়ে দাঁড়াল অন্য রকম ‘নায়িকা সংবাদ’।

কে যেন পাশ থেকে বললেন, “দ্যাখ, সবুজ পাঞ্জাবিতে ক্যুইজ মাস্টার সৃজিত যেন বৌভাতের বর। সবুজ পরেছে... ভোটে দাঁড়াবে নাকি!”

***

ক্যুইজ শুরুর আগেই এসেছিলেন মুনমুন সেন। গতবার তিনি ছিলেন প্রতিযোগী। এ বার বিশেষ অতিথি। কালো শিফনে চিরযৌবনা মুনমুন। আগের দিনই তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী মনোনীত। ক্যুইজ শুরুর আগে ছিল স্ন্যাক্সের আয়োজন। আর সে দিকে যেতে গিয়েই করিডরে তাঁর দেখা প্রসেনজিত্‌-এর সঙ্গে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা-বিনিময়।

পিছনেই আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্যতম প্রতিযোগী। মুনমুনকে বললেন, “কাল আসছ তো মিটিং-এ?”

একটা ভুরু উপরে তুলে টিপিক্যাল সিগনেচার স্টাইলে মুনমুন: “কখন...জানি না তো...”

ব্রাত্য: “বিকেল পাঁচটায়।”

মুনমুন: “ঠিক আছে। আসব...”

লাউঞ্জে সব্বাই। অপর্ণা, ঋতুপর্ণা, রচনা, শতাব্দী, কোয়েল, রাইমা...ও দিকে দেবশঙ্কর, কমলেশ্বর, সৃজিত।

যুদ্ধের আগে: সুজিত সরকার-কোয়েল মল্লিক।

রঙে-রঙে যেন মিলে গেছে রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাব! আর সে কি শুধুই বসন্তের রং?

ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। হাতে ফিশ ফ্রাই। রচনাকে খাইয়ে দিলেন এক টুকরো। ক্যুইজের পরদিনই আসানসোল থেকে যিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত।

মুম্বই থেকে রাইমার সঙ্গে কলকাতায় এসেছেন একই ফ্লাইটে। রাজনীতির এই রঙিন দুনিয়ার মাঝে এক ঝলক ফ্লাশব্যাক বাবুলের জীবনের দ্বিতীয় ক্যাসেট প্রকাশিত হয় রাইমার মা মুনমুনের সঙ্গে। নাম ছিল ‘অন্ত্যাক্ষরী’। বছর পঁচিশেক আগের কথা। আজ মুনমুন-বাবুল দু’জনেই আসন্ন ভোটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী! এক জন তৃণমূল প্রার্থী, অন্য জন বিজেপি।

কোথাকার জল কোথায়!

আরও মজার ব্যাপার, মঞ্চে বাবুলের পার্টনার কে? তৃণমূলের শতাব্দী রায়। বিজেপি-তৃণমূল এক সঙ্গে এ ভাবে! ভাবা যায়! ঘাসফুলের পাশে এমন ভাবেও ফোটে পদ্ম!

ও দিকে দর্শকাসনে ‘মিস্‌ আধুনিকা’ ঊষসী চক্রবর্তী। অধ্যাপিকা-নায়িকা। সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা। আগের দিনই শ্যামলবাবু রাজনীতির দুনিয়ায় মুনমুনের চলে আসা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’। আর এ দিকে ঊষসীর কাছে সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ঠোঁট উল্টে বললেন, “মুনদিকে দারুণ লাগে। শিক্ষিতা, বুদ্ধিমতী...সিনেমা থেকে এখন যত জন রাজনীতিতে আসে, ততই মঙ্গল।”

বোঝো কাণ্ড! বাবা-মেয়ের ভিন্ন মত!

কাণ্ডই বটে! অনুষ্ঠানের ম্যাচ রেফারি কিনা কলকাতার শেরিফ স্বয়ং রঞ্জিত মল্লিক। যাঁকে তাঁর কন্যা কোয়েল মঞ্চ থেকেই আবদার করলেন, “বাবা, এখানে পার্শিয়্যালিটি চলতে পারে।”

***

রুপোলি পর্দা-রাজনীতি-বসন্ত-বাতাস-দোল-মুম্বই থেকে পাওলির এসে পড়া-তনুশ্রী-রুদ্রনীল-কাঞ্চন-বিশ্বনাথ... মিলেমিশে এমন মাখোমাখো যে, সকলে সব ভুলে হয়ে উঠলেন একই পরিবারের সদস্য।

সৃজিত অবশ্য রসিকতা করে অনুষ্ঠান চলাকালীন বলেছিলেন, এই ছবির নাম হতে পারে, ‘সংসদে সংঘর্ষ’। রাজনীতি-টাজনীতি ভুলে এমন নির্মল বন্ধুত্বের আসর আর কোথায়ই বা সম্ভব!

***

তবে কেবলই কি বন্ধুত্ব? যিশু-শাশ্বত টিম যেমন ফেয়ার প্লে ট্রফি ঘোষণা হয়েছে কি হয়নি এমন মুহূর্তে লাফিয়ে উঠে ‘ওম শান্তি ওম’-এর দীপিকা পাড়ুকনের মতো হাত নাড়তে আরম্ভ করলেন, যাতে বেজায় চটে গেলেন ঋতুপর্ণা। অন্য দিকে আবার পার্টিতে রাগে ফেটে পড়লেন এক আধুনিক পরিচালক। ‘অভিশপ্ত নাইটি’কে আনন্দplus কেন ১০-এ ৯ নম্বর দিয়েছে! ভারী অন্যায়!

***

ক্যুইজে বাZার টেপা নিয়েও হয়েছে মজার ঝগড়া। সব টিমই বলছে আমরা আগে টিপেছি, আগে টিপেছি। উপস্থাপক সৃজিত বললেন, ‘‘দেখুন টিপেছি-টিপেছি বলে কোনও লাভ নেই। যে আগে টিপবে, টেবিলে তার আলোই জ্বলবে।”

এই না বলে তিনি শুরু করলেন গুনগুনিয়ে গান ‘কে যেন বাজায় বাZার...এ ভাঙা কুঞ্জবনে’। হেসে ফেললেন বাদী-বিবাদী সকলে।

***

দর্শকাসনে তখন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা-প্রণয় বৈদ্য-চন্দ্রাণী ও শর্মিলা সিংহ ফ্লোরা-রা দারুণ মুডে। এরই মাঝে পার্নো আর মৈনাক দ্রুত এলেন এবং দ্রুত প্রস্থান করলেন।

ও দিকে পার্টিতে উপস্থিত জাদুসম্রাট পি সি সরকারের দুই মেয়ে মুমতাজ-মৌবনী। কী সুন্দর সেজেছেন! কে বলবে, যাকে-তাকে ওঁরা ‘ভ্যানিশ’ করে দিতে পারেন নিমেষে! দুম করে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে গেলেন অবশ্য ‘চন্দ্রবিন্দু’র অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় আর পরিচালক সুজিত সরকার। ক’দিন আগে এক লেখায় অনিন্দ্য লিখেছিলেন, ‘বইমেলাও বুড়ো হয়েছে...তারও বাইপাস হয়েছে...’, কিন্তু তিনি নিজে যে তাঁর পরের ছবির প্রযোজক সুজিতের সঙ্গে গল্প করে পার্টিকে কার্যত ‘বাইপাস’ করে বেরিয়ে যাবেন, কে জানত!

আর সুজিত সরকার? ক’দিন আগেই যিনি অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে তৈরি করেছেন গুজরাত ট্যুরিজম-এর উপরে একটি অ্যাড। কথা চলছে অমিতাভকে নিয়ে তাঁর কলকাতায় শুটিং করারও। বললেন, “এই পার্টিতেই প্রথম মিট করলাম ব্রাত্য আর কমলেশ্বরকে।”

***

ভাল কথা, ক্যুইজ-মঞ্চে অপর্ণা সেন কয়েক মুহূর্তের জন্য স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েছিলেন। একটি প্রশ্ন ছিল, ‘সমাপ্তি’ ছবিতে অপর্ণার পোষ্য কাঠবিড়ালিটির নাম কী ছিল? দর্শকাসন থেকে বিদীপ্তা চেঁচিয়ে দিলেন উত্তর, “চরকি”। ভরত কলও চেঁচাচ্ছিলেন। রসিকতা করে সৃজিত বললেন, ‘‘বারবার উত্তর দিয়ে ভরত গিফ্ট হ্যাম্পার জমাচ্ছে...দোকান দেবে।”

রসিকতার মাঝে অপর্ণা ফিরে গেলেন স্মৃতির সরণিতে। জানালেন, বিজয়া রায়কে একটি কুকুর প্রেজেন্ট করেছিলেন সত্যজিত্‌ রায় আর তার নাম দিয়েছিলেন ‘চরকি’।

***

মনে রাখার মতো তথ্য: এ বারের ক্যুইজে প্রতিযোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ষোলো জন। আর আনন্দবাজারের তরফ থেকে আইফোন ছাড়াও ছিল ‘সিদ্ধা গ্রুপ’ ও নমিত বাজোরিয়ার ‘কুচিনা’র তরফ থেকে আকর্ষণীয় গিফ্ট। নানা ঘটনার মাঝে এই পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চটিও ছিল টুকরো টুকরো মুহূর্তের রঙিন কোলাজে ভরা। ‘ওহ্‌ ক্যালকাটা’র ডিনারেও যে মুহূর্তরা ভেসে বেড়াল নিজের মতো করে।

***

ঘটনার নানা ঘনঘটার মাঝে জানা গেল আরেকটি খবর। একই ফ্লাইটে মুম্বই থেকে আসতে আসতে সুচিত্রা সেনের ‘আনন্দলোক’ সংখ্যাটি রাইমার অনুরোধে রাইমাকে পড়ে শুনিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। দিদিমা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান বাড়ানোর জন্য। এমনকী ‘হোয়াটস অ্যাপ’-এও বিকেল চারটে পর্যন্ত দিদিমাকে নিয়ে রাইমার নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেছেন বাবুল! কিন্তু কে জানত এই বসন্ত-সন্ধ্যায় ‘বসন্ত-বিলাপ’ করবেন বাবুল, আর প্রশ্ন-আসরে ‘বসন্ত-যুদ্ধ’ জিতে নেবেন কৌশিক-রাইমা!

***

‘যুদ্ধ’ অবশ্য নামেই। আসলে পুরো অনুষ্ঠানকেই বলা যেতে পারে বসন্তোত্‌সব! সবার রঙে রং মেলানোর প্রেমের দিন!

না হলে রাজনীতির নানা পথিক, কাজের জগতের যুযুধান দুই পক্ষ এ ভাবে আবির উড়িয়ে মেতে যেতে পারেন, ক্ষণিকের জন্য হলেও!

সত্যিই বসন্তের কত রং, কত রঙ্গ!

***

ক্যুইজ দেখুন:

১৬ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায়, এবিপি আনন্দে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE