ক্রিসক্রস। (ইনসেটে) প্রীতম
হিন্দি মিউজ়িক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলার যোগ অনেক দিনের। সেই তালিকায় সম্প্রতি নাম লিখিয়েছে ‘জ্যাম এইট’। এই প্ল্যাটফর্মের সূত্রপাত এক বাঙালির হাত ধরেই। প্রীতম চক্রবর্তীর ভাবনায় ‘জ্যাম এইট’ কাজ করছিল অনেক দিনই। পরিচিতিও বাড়ছে ইদানীং। প্রীতম বললেন, ‘‘যাঁদের মাথায় প্রায় একই রকম চিন্তা ঘোরাফেরা করে, তাঁদের একসঙ্গে কাজ করার ভাবনা ছিলই। এ ছাড়া মিউজ়িক আদান-প্রদান তো বটেই। একদম তরুণ শিল্পী, যাঁদের মিউজ়িক তৈরির প্রাথমিক ধারণা নেই, চেয়েছিলাম তাঁদের জন্য হোক ‘জ্যাম এইট’। এটা বাণিজ্যিক মিউজ়িক করার জন্য ধারণা ও শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই তৈরি।’’
প্রীতম নিজের কম্পোজ়িশনের মাধ্যমেও নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দিতে পারেন। তা হলে আলাদা প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব কোথায়? ‘‘আমি ফ্রেশ ট্যালেন্ট খুঁজছি না। বহু প্রতিভাকে সুযোগ দিয়েছি নিজের কম্পোজ়িশনে। বলা ভাল, এখন যাঁরা গান করছেন, তাঁদের অর্ধেকই আমার গান দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। একদম নতুন কম্পোজ়ার ও লিরিসিস্ট, যাঁরা প্রথম ব্রেকের আশায় লড়ছেন, তাঁদের সাহায্য করার কাজটা করছে ‘জ্যাম এইট’।
‘জ্যাম এইট’-এর পক্ষ থেকে শুভদীপ মিত্র, কিরণ সতপুতে, শুভম শিরুলে, স্বস্তিকা-সাগ্নিক কাজ করেছেন ‘ক্রিসক্রস’-এ। এই ছবির মিউজ়িকে আলাদা কী? ‘‘গানগুলো আরবান। আর দরদ দিয়ে তৈরি,’’ জবাব প্রীতমের। আর মিউজ়িক কম্পোজ়ের ক্ষেত্রে ভাষার গুরুত্ব? প্রীতম বলছেন, ‘‘আসলে মিউজ়িকের কোনও ভাষা নেই। বরং লিরিকসই তাকে ভাষা দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy