‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি। ছবি: দেবর্ষি সরকার
প্রথম বার ইতিহাস নির্ভর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাউত। ‘মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ দিয়ে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবেন তিনি। প্রথম বার তিনি বড় পর্দায় রাজবেশে। প্রচারেও সেই লুক বজায় রাখছেন কঙ্গনা। সালঙ্কারা, দ্যুতিময়ী। শহরে এসেছিলেন ‘দমদম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অতিথি হয়ে।
পর্দায় মণিকর্ণিকা হওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটা ছিল? অভিনেত্রী বললেন, ‘‘অ্যাকশন। সেটে দুর্ঘটনাও হয়েছিল। শখে ঘোড়ায় চড়া এক জিনিস আর শুট করা অন্য... আমরা শুধু অ্যাকশনই করিনি, পশুগুলোকেও কিছু নিয়ম মানতে হয়েছে। কখনও পুরো ব্যাপারটা খুব ক্লান্তিকর লেগেছে।’’
পর্দায় তিনি শুধু রানি নন। যোদ্ধা লক্ষ্মীবাইয়ের চরিত্রে। দেশ-কালের গণ্ডিভেদে পুরুষ পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে মহিলা যোদ্ধাদের উপস্থাপনাও বদলেছে ছবিতে। ‘মণিকর্ণিকা’ সে দিক দিয়ে কতটা আলাদা? কঙ্গনা বললেন, ‘‘পাশ্চাত্য ছবিতে মহিলা যোদ্ধাদের উপস্থাপনা খুব সেনসুয়াল। ওয়ান্ডার উওম্যান-এ যেমন, ওদের পোশাকটাও সেনসুয়াল। কিন্তু আসলে অ্যাকশন ব্যাপারটা এতটাও সেনসুয়াল নয়। যোদ্ধা পুরুষ হোক বা মহিলা, আসলে কাজটা খুব পুরুষোচিত। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্মীবাইও পুরুষের মতোই আচরণ করেছে। আর এখনকার দিনে মেয়েরা শরীরী ভেদাভেদ অতিক্রম করে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রেই প্রবেশ করেছে। তারা চাইলে সৈন্যও হতে পারে, অভিনেত্রীও।’’
আরও পড়ুন: ‘আমি ওকে মিস করি…’ দীপিকা নন, কোন বলি তারকার কথা বললেন রণবীর
ব্যক্তিজীবনে বিতর্ক তাঁর কম নয়। তবে সে সব ছাপিয়ে চিত্রনাট্যকার বা পরিচালকের কাজে হস্তক্ষেপের জন্য বারবার শিরোনামে এসেছেন কঙ্গনা। আদতে সত্যিটা কী? হাসতে হাসতে কঙ্গনা বললেন, ‘‘সতেরো বছর বয়সে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করেছি। বলা যায়, এই ইন্ডাস্ট্রিতেই আমার বেড়ে ওঠা। ছবি তৈরির ব্যাপারে বরাবর আমি প্রশ্ন করতাম। প্রথম দিকে প্রশ্ন করায় লোকে আমাকে ‘কিউট’ ভাবত। কারণ মেয়েরা তো চুপচাপ থাকবে। সরল বোকা বোকা প্রশ্ন করবে। তা হলে পুরুষের চোখেও প্রিয় হয়ে উঠবে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে যখন আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ল, মনে হল প্রশ্ন করাই উচিত, তখন দেখলাম ব্যাপারটা অনেককেই অস্বস্তিতে ফেলছে। সমান্তরাল ছবির কথা আলাদা। তবে মূল ধারার ছবি বা কথোপকথনে নিজের মতামত জানালেই লোকের অস্বস্তি হয়।’’
আরও পড়ুন: এ বার সেলেবরা কী চাইবেন সান্তার কাছে?
যে পরিচালকের ছবি তাঁর কেরিয়ারের মাইলফলক, সেই বিকাশ বহেলের বিরুদ্ধেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। এ ছাড়া কর্ণ জোহরের সঙ্গে তাঁর ‘নেপোটিজ়ম’ বিতর্ক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চর্চিত বিষয়। আর কখনও এই দুই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবেন?
‘‘কোনও বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। এই ব্যাপারটা নিয়ে আর উত্তেজনা তৈরি করতে চাই না,’’ স্মিত হেসে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন কঙ্গনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy