নামেই বিপত্তি। নামেই বিভ্রাট। তাই ছেলের নামটাই বদলে দিলেন করিনা কপূর খান। তৈমুরকে এখন ডাকছেন লিট্ল জন বলে।
সদ্যোজাতও যে ‘ট্রোলড’ হতে পারে, সেটা বোঝা গেল তৈমুরের নামকরণ হওয়ার ঘটনাতেই! গত বছর ২০ ডিসেম্বর ছেলে হওয়ার পর সেফ আলি খান নাম রাখেন তৈমুর, অর্থাৎ ইস্পাত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া নামের অর্থের ধার ধারেনি। ইতিহাসের চরিত্র তৈমুর লঙের সঙ্গে সরাসরি তুলনা চলতে থাকে। এবং গোটা বিষয়টাই নেতিবাচক দিকে চলে যায়।
কপূর এবং খান পরিবার ঘটনায় চূড়ান্ত বিস্মিত হয়েছিল! ঋষি কপূর যেমন টুইটারে নিন্দুকদের একহাত নেন। সেফও মুখ খোলেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, তৈমুর লঙের সঙ্গে নামকরণের কোনও সম্পর্ক নেই। ছোট একটি বাচ্চাকে নিয়ে এভাবে বিতর্ক তৈরি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া কোনদিন এসবের তোয়াক্কা করেছে? ‘তৈমুর শর্ট’ মিমও তৈরি হয়ে যায়।
তৈমুর
করিনা-সেফের ঘনিষ্ঠদের মতে বিতর্ক এড়াতেই তাঁরা তৈমুরকে ‘লিট্ল জন’ বলে ডাকছেন। কিছুদিন আগে সেফ একবার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যে, তাঁরা নাম বদলে দিতে পারেন। সেফের বক্তব্য ছিল, ‘‘এই ট্রোলিংয়ের জন্য বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।’’ যদিও সেই সময় করিনা নাম বদলের একেবারে বিরুদ্ধে ছিলেন। করিনার কথায়, ‘‘যে সিদ্ধান্ত একবার নিয়েছি, সেটা বদলে দিলে সাধারণ মানুষের আমাদের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।’’ সেফ তখন করিনার কথা মেনে নেন। অফিশিয়ালি তাঁরা বাচ্চার নাম পরিবর্তন না করলেও, তৈমুরের বদলে ‘লিট্ল জন’ নামেই খুদে সদস্যকে ডাকছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাক ছবিতে অনুষ্কার সেতার
করিনার ডাক নাম বেবো। করিশ্মার লোলো। কপূর পরিবারে মজার নামকরণ করার চল রয়েছে। করিনার ঘনিষ্ঠদের মতে, নায়িকাও সেই পথে হেঁটেই ছেলেকে ‘লিট্ল জন’ বলছেন। রবিন হুডের প্রধান সহযোগীর নামও ছিল লিট্ল জন। করিনা কি তাহলে রবিন হুডের ভক্ত? যেমনভাবে তাঁর মা ববিতা লিও টলস্টয়ের বই অ্যানা কারনিনা থেকে করিনার নাম রেখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy