দিতিপ্রিয়া
তাঁর শ্বশুর বলতেন ‘রানি’ দাস বাড়ির লক্ষ্মী। অক্ষরজ্ঞানহীন মেয়ে। তবুও বাবা, কুলপুরোহিত আর শ্বশুরমশাইয়ের উৎসাহেই রামায়ণ, মহাভারত, বেদ, পুরাণে পরিচিত হয়েছিলেন তিনি। রাসমণি। নাম বলার সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণেশ্বর, রামকৃষ্ণদেব মনের মধ্যে চলে আসেন। কিন্তু আসলে নাকি রাসমণি ছিলেন বৈষ্ণব? তিনিও নাকি সতীদাহ থামিয়েছিলেন?
লালপেড়ে সাদা শাড়ির আভায় একরত্তি নারীর লড়াইয়ের গল্প বলবে এই ধারাবাহিক।
প্রায় মাসখানেক ধরেই কথাটা ভাসছিল টেলিপাড়ায় যে, পরিচালক সুব্রত রায় একটি পিরিয়ড টেলিড্রামার শ্যুটিং শুরু করছেন। তবে ধারাবাহিকের নাম ও বিষয়বস্তু নিয়ে একটু ধন্দ ছিল। ‘জি বাংলা’-র সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে ‘রানি রাসমণি’-র প্রথম প্রোমো আপলোড হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের প্রবল উৎসাহ চোখে পড়ছে।
যিশু সেনগুপ্তর ‘অপরাজিত’ ধারাবাহিকের সেই খুদে মেয়ে দিতিপ্রিয়া এ বার রাসমণির চরিত্রে। বললেন, ‘‘খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। পিরিয়ড ড্রামা। নিজেকে সেই মতো তৈরি করতে হবে, যাতে দর্শকদের ভাল লাগে।’’ রানি রাসমণির যখন বিয়ে হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল এগারো। লালপাড় সাদা শাড়ি, গা ভর্তি গয়না— সব মিলিয়ে এই লুকে দারুণ মানিয়েছে কিশোরী দিতিপ্রিয়াকে।
গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে কেমন করে ব্রিটিশ মসনদ থেকে তৎকালীন বঙ্গ সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তার ছবি আঁকবে এই ধারাবাহিক। থাকবে নানা অজানা তথ্য। পরদার আড়াল থেকেই রাসমণি সান্নিধ্যে এসেছেন রাজা রামমোহন রায় ও দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো ব্যক্তিত্বের। রামমোহনের মতোই তিনিও সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আজকের সময়ে এই একলা চলা মেয়ের কাহিনি বাঙালির ড্রয়িংরুমে নিশ্চয় দাগ কাটবে বলে মনে করছেন চ্যানেলের অধিকর্তা সম্রাট ঘোষ। ছোট রাসমণিকে নিয়ে ধারাবাহিকের অনেকগুলো পর্বই শ্যুট করার প্ল্যান চ্যানেল কর্তৃপক্ষর। খোঁজ চলছে বড় রাসমণির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy