হঠাৎ করে হাতের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে চোর? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাত্র তিনটি অপশন চালু থাকলে ওই ফোন নিয়ে কিছুই করতে পারবে না ছিনতাইকারী। এমনকি অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি বন্ধ করতেও বেগ পেতে হবে তাকে। ফলে সহজেই টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ফোন খুঁজে বার করতে পারবেন গ্রাহক। তবে এই ধরনের ঘটনায় অবশ্যই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
গ্যাজেট বিশ্লেষক অভ্র রায় জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সুরক্ষায় সব সময় তিনটি অপশন চালু রাখা উচিত। এর জন্য প্রথমেই গ্রাহককে সিকিয়োরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি অপশনটিতে যেতে বলেছেন তিনি। সেখান গেলে মিলবে রিকোয়ার্ড পাসওয়ার্ড টু পাওয়ার অফ। সেটি অন করা থাকলে ফোনটি সুইচ অফ করতে গেলেও পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হবে। ফলে ফোন চুরির পর সেটি বন্ধ করতে পারবে না দুষ্কৃতীরা।
কিন্তু, এ ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন বন্ধ করতে বিশেষ একটি কৌশল নিতে পারে চোর। ফোনটির এয়ারপ্লেন মোডটি অন করে তাকে টাওয়ার লোকেশনের বাইরে রাখার চেষ্টা করতে পারে সে। গ্যাজেট বিশ্লেষক অভ্র রায়ের কথায়, ‘‘সেটা যাতে না হয়, তার ব্যবস্থা রয়েছে। এর জন্য গ্রাহককে সেটিংসে গিয়ে সোয়াইপ ডাউন টু নোটিফিকেশন প্যানেলটিকে অফ করে রাখতে হবে। ওই অপশন বন্ধ থাকলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন হাতে পেয়ে এরোপ্লেন মোডটি কিছুতেই চালু করা যাবে না।’’
তবে ফোন চুরি গেলে আরও একটি সমস্যা রয়েছে। সেটা হল, দুষ্কৃতীরা ফোনের সিম কার্ড খুলে ফেলে দিতে পারে। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন অভ্র। তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য গ্রাহককে গুগ্ল অল সার্ভিসে যেতে হবে। সেখানে ঢুকলে মিলবে ফাইন্ড মাই ডিভাইস নামের একটি অপশন। এর পর ওর ভিতরে ঢুকে ফাইন্ড ইয়োর অফলাইন ডিভাইস উইথআউট নেটওয়ার্ক অপশনটিকে অন করতে হবে।
স্যামসংয়ের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের অবশ্য এত কিছু করার প্রয়োজন নেই। ফাইন্ড মাই ডিভাইস ডিভাইসে ঢুকে অফলাইন ফাইন্ডিং নামের অপশনটিকে অন রাখতে হবে। এগুলি করা থাকলে ফোনে কোনও সিম কার্ড না থাকলেও তার অবস্থান জানতে কোনও অসুবিধা হবে না।