বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু চাই সেরা ক্যামেরার স্মার্টফোন। কোন সংস্থার কোন মডেলটি বেছে নেবেন? কার লেন্সে কথা বলবে ছবি? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকেরা তিনটি ফোনের কথা মাথায় রাখতে বলেছেন। তালিকায় রয়েছে মোটোরোলা, ভিভো এবং ওয়ানপ্লাসের সেরা তিনটি মডেল।
সেরা ক্যামেরার স্মার্টফোনের মধ্যে প্রথমেই আসবে মোটোরোলার এজ় ৫০ ফিউশন মডেলটির নাম। ইতিমধ্যেই বাজারে এজ় ৬০ সিরিজের ফোন নিয়ে এসেছে এই মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থা। অর্থাৎ, তুলনামূলক ভাবে এজ় ৫০ কিছুটা পুরনো ফোন। কিন্তু তার পরও স্থিরচিত্রের ক্ষেত্রে এর পারফরম্যান্স ৪০ হাজার টাকা দামের ফোনকেও টেক্কা দিতে পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
মোটোরোলার এজ় ৫০ ফিউশনে রয়েছে কোয়ালকমআর স্ন্যাপড্রাগন ৭এস জেন২ প্রসেসর এবং ৫০০০ মিলিঅ্যাম্ফেয়ার-আওয়ার ব্যাটারি। ফোনটির পিছন দিকে (প়ড়ুন ব্যাকসাইড) আছে দু’টি ক্যামেরা। এদের একটি ৫০ এবং অপরটি ১৩ মেগা পিক্সেলের। দ্বিতীয় ক্যামেরাটি ব্যবহার করে গ্রাহক আল্ট্রাওয়াইড এবং ম্যাক্রো ছবি তুলতে পারবেন। এ ছাড়া ফোনটির সামনের দিকে রয়েছে ৩২ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা। নিজস্বী তোলার ক্ষেত্রে যা ব্যবহার করা যাবে।
৬.৭ ইঞ্চির পি-ওএলইডি ডিসপ্লের মোটোরোলার এজ় ৫০ ফিউশনকে যদি পছন্দ না হয় তা হলে ওয়ানপ্লাসের নর্ড সিই৪-এর দিকে ঝুঁকতে পারেন গ্রাহক। এই ফোনটিও কিছুটা পুরনো হয়ে গিয়েছে। প্রসেসর এবং ব্যাটারির নিরিখে মোটোরোলার ফোনটির সঙ্গে এর তেমন কোনও তফাত নেই। তবে এর আবার পিছন দিকে রয়েছে মোট তিনটি ক্যামেরা। তার মধ্যে একটি ৫০ এবং অপরটি আট মেগা পিক্সেলের। এই ফোন রয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি নিজস্বী ক্যামেরা।
সেরা ক্যামেরার স্মার্টফোনের তালিকায় অবশ্যই থাকবে ভিভোর টি-৩ প্রো মডেলটি। এই ফোনের ৫০ মেগা পিক্সেল দিয়ে তোলা ছবি সরাসরি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা যাবে। তার জন্য প্রয়োজন হবে না কোনও এডিটিং। এর ডিসপ্লে আবার পুরোপুরি এইচডি প্লাস। ফলে ফোনটিতে ভিডিয়ো গেম খেলার সময় অন্য অনুভূতি পাবেন গ্রাহক।