আর মেরেকেটে ১০ বছর। তার পর পুরোপুরি গায়েব হয়ে যাবে আইফোন! ভোক্তা বাজারের দখল নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই)! সম্প্রতি এ হেন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন খোদ অ্যাপ্লের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডি কিউ। তাঁর ওই মন্তব্যের পর প্রমাদ গুনছে দুনিয়ার তাবড় টেক জায়ান্ট সংস্থা। তীব্র হয়েছে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা। যদিও এখনই এর আঁচ অ্যাপ্লের কর্মীদের উপর পড়বে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
কিছু দিন আগে গুগ্ল সার্চ অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন এডি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘১০ বছর পর হয়তো আর আইফোনের প্রয়োজনই হবে না। কারণ যে দ্রুত গতিতে এআই উঠে আসছে, তা সত্যিই বিস্ময়কর।’’ ভোক্তা বাজারের যাবতীয় চাহিদা কৃত্রিম মেধা পূরণ করতে পারবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এআই নিয়ে অ্যাপ্লের কোনও পদস্থ আধিকারিককে এর আগে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।
উল্লেখ্য, কৃত্রিম মেধা রহস্যের সমাধান করার চেষ্টা যে আইফোন নির্মাণকারী সংস্থাটি করেনি, তা নয়। অ্যাপ্লের সিরি নামের একটি নিজস্ব এআই টুল রয়েছে। কিন্তু, সেটি ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটির মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। ফলে এই কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে লগ্নি বাড়াচ্ছে অ্যাপ্ল। সে ক্ষেত্রে আইফোনের উৎপাদনকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি বলেই মত বিশ্লেষকদের একাংশের।
এ ব্যাপারে আইপডের উদাহরণ দিয়েছেন এডি। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সময়ে এই গ্যাজেটটি বাজার দখল করে ছিল। কিন্তু আইফোন আসার পর সেটি ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায়। এখন ভোক্তাদের কাছে আইপডের কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই। কিন্তু আইফোনের আছে। এআই সেখানে থাবা বসাতে চলেছে বলে আমার বিশ্বাস।’’
তবে মোবাইল ফোনের বাজারের বড় অংশই এখনও দখল করে রেখেছে আইফোন। এর থেকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করে থাকে অ্যাপ্ল। সেই সূচক যে খুব একটা নেমেছে, তা নয়। বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতের বাজার দখল করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এই বহুজাতিক মার্কিন টেক জায়ান্ট। পাশাপাশি, চলছে কৃত্রিম মেধাভিত্তিক টুলটিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার কাজ। সিরিকে অ্যাপ্ল কর্তৃপক্ষ চ্যাটজিপিটির দক্ষতায় তুলে দিয়ে যেতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।