আমজনতার জীবনে দিন দিন বাড়ছে কিউআর কোডের ব্যবহার। ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রযুক্তি। মোবাইল ফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করে অহরহ বিল মেটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া মেট্রো রেলের টিকিট থেকে শুরু করে রেস্তরাঁর মেনুকার্ড, সব কিছুই ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে কালো রঙের চতুষ্কোণ কোডটিতে।
কিউআর শব্দটির অর্থ হল কুইক রেসপেন্স। সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, যেমন ইচ্ছা স্ক্যান করে একে ব্যবহার করতে পারেন গ্রাহক। খুব ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যাবে, কিউআর কোডের ভিতরে রয়েছে তিনটে ছোট ছোট চতুষ্কোণ। সেগুলিই এর অ্যালাইনমেন্ট ঠিক রাখে। ফলে যে কোনও ভাবে স্ক্যান করে এতে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবে ব্যবহারকারী।
বিশ্লেষকেরা কিউআর কোডকে বারকোডের উন্নত সংস্করণ বলে থাকেন। বারকোডের মধ্যে লুকিয়ে থাকে একটি বড় সংখ্যা। সেটা ০ ও ১ বা অন্য কোনও ফরম্যাটে হতে পারে। বারকোড স্ক্যান করলে মেলে বেশ কিছু তথ্য। কিউআর কোডও ঠিক সে রকমই। তবে এতে তথ্যের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি।