Advertisement
E-Paper

তুষার, শৃঙ্গে ঘেরা হ্রদ! ঘুরে আসুন হেমকুণ্ড সাহিব, প্রস্তুতি নিতে কী করবেন?

তীর্থযাত্রায় আগ্রহ না থাকলেও তুষারাবৃত শৃঙ্গ এবং হ্রদের মনোরম দৃশ্য দেখতে যান অনেকে। আগামী ২৫ মে শুরু হবে ট্রেকিং। ১০ অক্টোবর ফের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ১৯:৩৪
Know details about Hemkund Sahib Trek in Uttarakhand during May to Oct

তুষারাবৃত শৃঙ্গ এবং হ্রদের মনোরম দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসুন হেমকুণ্ড সাহিব থেকে। ছবি: সংগৃহীত।

রাস্তা খুলছে চলতি মাসেই। ট্রেকিংয়ের জন্য সেরা সময়। ঘুরে আসতে পারেন উত্তরাখণ্ড থেকে। বরফ গলা শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে। হিমালয় দর্শন করতে সারা পৃথিবী থেকে পর্যটক এই সময়ে ভারতে আসেন। তাই এখনই প্রস্তুতি নিন হেমকুণ্ড সাহিব যাত্রার।

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ৪,৩২৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই মন্দির। তীর্থযাত্রায় আগ্রহ না থাকলেও তুষারাবৃত শৃঙ্গ এবং হ্রদের মনোরম দৃশ্য দেখতে যান অনেকে। আগামী ২৫ মে শুরু হবে ট্রেকিং। ১০ অক্টোবর ফের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।

কোনখান থেকে যাত্রা শুরু হয়? জেনে নিন হেমকুণ্ড সাহিবে যাওয়ার পথ

অনেকেই গোবিন্দঘাট থেকে যাত্রা শুরু করেন। ঋষিকেশ, হরিদ্বার এবং দেহরাদূন থেকে সহজেই সেখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। গোবিন্দঘাট থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে পুলনা। এই পথটি কেউ হেঁটে অতিক্রম করেন, কেউ আবার গাড়িতে চেপেও যেতে পারেন। পুলনা থেকে ১৩ কিলোমিটার ট্রেক করে ঘাঙ্গারিয়া পৌঁছতে হয়। যেখান থেকে হেমকুণ্ড সাহিব এবং ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স’, দুই-ই যাওয়া যায়।

Know details about Hemkund Sahib Trek in Uttarakhand during May to Oct

শেষের কঠিন পথটি পেরোলেই দেখতে পাবেন, প্রকৃতির তার সৌন্দর্য উজাড় করে রেখেছে। ছবি: সংগৃহীত।

ঘাঙ্গারিয়া থেকে হেমকুণ্ড সাহিবে পৌঁছোনোর জন্য প্রায় ৬ কিমি পথ পেরোতে হবে। সেই রাস্তাটি প্রায় পুরোই খাড়া। সেখানে হাঁপ ধরতে পারে। কিন্তু বিরতি নিয়ে নিয়ে হাঁটলে খুব কষ্ট হবে না। আর ওই ৬ কিমি পথ পেরোলেই দেখতে পাবেন, প্রকৃতির তার সৌন্দর্য উজাড় করে রেখেছে। তবে যাঁদের পক্ষে হাঁটা সম্ভব নয়, কিন্তু হিমালয় দর্শন করা চাই-ই চাই, তাঁদের জন্য ছোট ঘোড়ার বন্দোবস্ত রয়েছে।

হেমকুণ্ড সাহিব ট্রেকের জন্য সতর্কতা

১. যাঁরা প্রথম প্রথম ট্রেকিং করছেন, তাঁদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বেড়াতে যাওয়ার মাসখানেক আগে থেকেই নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে। কার্ডিয়ো শরীরচর্চা করতে পারলে পাহাড় চড়ায় কষ্ট কম হবে।

২. উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে বোঝাপড়া করার সময় দেওয়া জরুরি। হুট করে এক দিনে সমতল থেকে ৪,৩২৯ মিটার উচ্চতায় উঠে গেলে অক্সিজেনের অভাব বোধ করতে পারে শরীর। তাই গোবিন্দঘাট বা ঘাঙ্গারিয়ায় এক রাত কাটিয়ে নিলে ভাল।

৩. জুন-জুলাই মাসেও সন্ধ্যা নামতেই ঠান্ডা পরে। তাই যথেষ্ট পরিমাণে শীতপোশাক নিতে হবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে বলে বর্ষাতি এবং ছাতা নিতে হবে। তা ছাড়া ট্রেকিংয়ের জন্য উপযুক্ত জুতো আর প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতে হবে।

৪. ট্রেকিংয়ের মূল শক্তি জল থেকেই আসে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন, যেন দেহে জলের অভাব না হয়।

trekking Himalaya Travel Tips Trekking Routes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy