জুনপুট ভ্রমণের সাত সতেরো ছবি: শাটরস্টক।
সপ্তাহান্তের ছুটিতে সমুদ্র দেখার সাধ হলে বাঙালির সকলের আগে মাথায় আসে দিঘা কিংবা মন্দারমণির কথা। কিন্তু অনেকেই সপ্তাহের শেষটুকু কাটাতে চান নির্জন কোনও স্থানে। সে ক্ষেত্রে দিঘার কোলাহল অনেকেরই না পসন্দ। যাঁরা অল্প সময়ে সমুদ্র দেখে আসতে চান কিন্তু প্রচলিত স্থানগুলির ভিড় চান না তাঁদের জন্য রইল স্বল্প পরিচিত জুনপুটের হদিশ।
কী দেখবেন
জুনপুটের বেলাভূমি বেশ দীর্ঘ। ভাটার সময় বালি আর কাদার এই দীর্ঘ তট ভরে থাকে অসংখ্য লাল কাঁকড়ায়। তবে স্নান করার জন্য এই সৈকত খুব একটা সুরক্ষিত নয় বলেই মত অনেকের। নির্জন বালিয়াড়িতে সময় কাটানোর পাশাপাশি দেখে নিতে পারেন মৎস দপ্তরের মাছের জাদুঘরও। বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলার স্মৃতি বিজড়িত মন্দিরটিও দেখে আসতে পারেন। মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে রয়েছে আরও একটি সৈকত বাঁকিপুট। কাছেই দরিয়াপুরে রয়েছে একটি বাতিঘর। দেখে নিতে পারেন সেটিও।
কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের থাকার জন্য জুনপুটে একাধিক রিসর্ট রয়েছে। তবে আগেভাগে বুকিং করে যাওয়াই ভাল। অনেকেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর কিংবা গোপালপুর থেকে জুনপুটে চড়ুইভাতি করতে আসেন। গাছপালায় ঘেরা বালিয়াড়িতে চড়ুইভাতির ভাল ব্যবস্থাও রয়েছে। চাইলে স্থানীয় মৎসজীবীদের থেকে সরাসরি কিনে নেওয়া যায় মাছ।
কী ভাবে যাবেন
সড়কপথে কলকাতা থেকে জুনপুটের দূরত্ব কমবেশি ১৫০ কিলোমিটার। দিঘা থেকে জুনপুট প্রায় ৪০ কিলোমিটার। সড়ক পথে এখানে যেতে চাইলে প্রথমে পৌঁছাতে হবে কাঁথি। কাঁথি থেকে জুনপুটের দূরত্ব মাত্র নয় কিলোমিটার। কাঁথি থেকে ছোট গাড়িতে চলে যাওয়া যায় জুনপুট। ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া থেকে কাঁথির ট্রেন মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy