নতুন করে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হওয়া ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আবার উত্তাল পড়শি দেশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সে দেশে। বিক্ষোভকারীদের রোষ ছড়িয়ে পড়েছে সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পায়নি ভারতের উপদূতাবাস। চট্টগ্রামের ভারতীয় প্রশাসনিক ভবনটিতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। সেই হামলার একটি ভিডিয়ো এসেছে আনন্দবাজার ডট কমের হাতে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চট্টগ্রামে ভারতীয় উপদূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। উপদূতাবাস লক্ষ্য করে ঢিল-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। রাত থেকে উপদূতাবাসের সামনে অবস্থানে বসেছেন ছাত্র-যুবদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের একাংশের মুখে ছিল শেখ হাসিনা এবং ভারতবিরোধী স্লোগান। বাইকে চড়ে উপদূতাবাসের সামনে ভিড় করছিল বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি জানিয়েছে, রাজশাহীতে মুজিবুর রহমানের একটি বাড়ি এবং আওয়ামী লীগের দফতর ভাঙচুর করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে রেহাই মেলেনি সংবাদমাধ্যমেরও। ঢাকার কারওয়ান বাজারে ‘প্রথম আলো’ এবং ‘দ্য ডেলি স্টার’-এর কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, খুলনায় এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির বাড়িতেও ফের ভাঙচুর চালানো হয় বৃহস্পতিবার রাতে। পরিস্থিতির গভীরতা আঁচ করে গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি ‘ধৈর্য ও সংযম’ বজায় রাখার আবেদন জানান।