অফিস থেকে বেরিয়ে অ্যাপ ক্যাব বুক করেছিলেন তরুণী। সেই রাইডটি ক্যানসেল হয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে অ্যাপ দিয়ে বাইক রাইড বুক করেছিলে কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত তরুণী। তাঁর অফিস মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে। বাইক পরিষেবা বুক করার ১০ মিনিটের মধ্যে এসে পৌঁছন চালক। বাইকে ওঠার পর তরুণীর কাছে আসে তাঁর ম্যানেজারের ফোন আসে। তাঁদের কথোপকথন শেষ হওয়ার পরই বাইক চালক তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন তরুণী কোথায় কর্মরত। তাঁদের পরবর্তী কথোপকথনে উঠে আসে অদ্ভুত তথ্য। বাইকচালকের আসল পরিচয় জেনে হতবাক হয়ে যান তরুণী। এই পুরো ঘটনাটি তরুণী রেডিট সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রেডিট পোস্টে, তরুণী লিখেছেন, ‘‘আমার বয়স ২৫ বছর এবং বর্তমানে আমি একটি কর্পোরেট সংস্থায় কাজ করি। গতকাল অফিস থেকে বেরোতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। যে গাড়িতে আমি যাই পিক অ্যান্ড ড্রপের কারণে সেটি আসতে দেরি করছিল। এমন পরিস্থিতিতে,বহু ক্যাবই আমার বুকিং বাতিল করে দিয়েছিল, বাধ্য হয়ে তখন আমি বাইক পরিষেবা বুক করি।’’ এর পর তাঁর কাছে রাইডার এসে পৌঁছন। তরুণী জানিয়েছেন প্রথম দেখাতেই রাইডারকে তাঁর খুব পছন্দ হয়ে যায়। তাঁর ম্যানেজারের ফোন আসার পর বাইক চালক তাঁর সম্পর্কে জানতে উৎসুক হন।
আরও পড়ুন:
চালক তরুণীকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথায় কর্মরত। এর উত্তরে তরুণী তাঁর সংস্থার নাম ও ঠিকানাটি জানান। তরুণীর কথা শুনে অ্যাপ বাইকচালক জানান, তিনিও ওই একই ঠিকানায় অবস্থিত একটি নামজাদা বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। এই শুনে তরুণী হাঁ হয়ে যান। তিনি জানতে চান অফিসের পরই কি তরুণ বাইকের পরিষেবা দেন। পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন যে, তিনি তাঁর এই কাজের জন্য মোটেও লজ্জিত নন।
আরও পড়ুন:
রেডিটে এই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ তাতে মন্তব্য করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘আমি অ্যাপ থেকে বাইকের পরিষেবা অনেক ব্যবহার করি কারণ এটি অটোর তুলনায় সস্তা ও সুবিধাজনক। অনেক বার চালক রয়্যাল এনফিল্ড এবং অন্যান্য স্পোর্টস বাইক নিয়ে এসেছেন।’’ অন্য এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এটা স্বাভাবিক এবং এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। অনেকেই অতিরিক্ত কাজের পর অ্যাপ বাইক চালান। কেউ কেউ মাঝে মাঝে ফিরে আসার সময় এটি করেন কারণ তাতে পেট্রোলের খরচ উঠে যায়।’’