Advertisement
E-Paper

‘সম্মান করে না সন্তানেরা’, অভিমানে চার কোটির সম্পত্তি মন্দিরে দান করলেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন আধিকারিক

মন্দিরে সম্পত্তির নথি দানকারী ওই ভক্তের নাম এস বিজয়ন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা তিনি। মন্দিরের কাছেই কেশবপুরম গ্রামের বাসিন্দা বিজয়ন ছোটবেলা থেকেই ওই মন্দিরে পুজো দিতে যান।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১০:০৪
Army Veteran from Tamil Nadu donated property worth four crore in a temple as children does not support him

ছবি: সংগৃহীত।

সন্তানেরা দিনরাত অপমান করে। প্রতি দিনের খরচের জন্যও কথা শোনায়। রাগে, অভিমানে চার কোটি টাকার সম্পত্তি মন্দিরে দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলায় অরণি শহরে। হইচই পড়ে গিয়েছে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে।

তিরুভান্নামালাই জেলার অরণি শহরে রয়েছে আরুলমিগু রেনুগাম্বল আম্মান মন্দির। প্রতি দু’মাস অন্তর ভক্তদের থেকে পাওয়া দান, নগদ অর্থ, গয়না হিসাব করে দেখেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জুনও একই রকম ভাবে হিসাব করা হচ্ছিল। তা করতে গিয়েই হতবাক হয়ে যান মন্দিরের সদস্যেরা। তাঁরা দেখেন, মন্দিরে থাকা ১১টি হুণ্ডি (দানবাক্স)-র মধ্যে একটিতে ৪ কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় মন্দিরে সম্পত্তির নথি দানকারী ওই ভক্তের নাম এস বিজয়ন। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা তিনি। মন্দিরের কাছেই কেশবপুরম গ্রামের বাসিন্দা বিজয়ন ছোটবেলা থেকেই ওই মন্দিরে পুজো দিতে যান। তিনিই নিজের চার কোটির সম্পত্তি মন্দিরের হুণ্ডিতে রেখে গিয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু কেন?

৬৫ বছর বয়সি বিজয়ন জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে প্রায় ১০ বছর তিনি একা থাকেন। দুই কন্যাও রয়েছে তাঁর। উভয়েই বিবাহিত। এক জন থাকেন চেন্নাইয়ে, অন্য জন ভেলোরে। বিজয়নের দাবি, পরিবারের কাছ থেকে কোনও রকম সহায়তা তিনি পান না। উপরন্তু সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিল কন্যারা। আর সে কারণেই সব সম্পত্তি তিনি মন্দিরে দান করার সিদ্ধান্ত নেন। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে বিজয়ন বলেছেন, ‘‘আমার সন্তানেরা আমাকে দৈনন্দিন খরচখরচার জন্যও অপমান করে। আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব না। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করার পর আমি আইনত আমার সম্পত্তি মন্দিরে দান করব।’’ জানা গিয়েছে, মন্দিরের দানবাক্সে বিজয়ন যে সম্পত্তির নথি রেখেছিলেন তার মধ্যে রয়েছে সাড়ে তিন কাঠা জমি এবং মন্দিরের কাছে একটি একতলা বাড়ি, যার মোট মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি টাকা। তিনি যে স্বেচ্ছায় তাঁর সম্পত্তি মন্দিরে দান করেছেন, তা-ও একটি কাগজে লিখে দানবাক্সে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

Tamil Nadu Indian Army Property temple
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy