কাজে খুশি হয়ে সংস্থার কাছে এক কর্মীর বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন বস্। আবেদন মঞ্জুর হয়। বেতনবৃদ্ধির পাশাপাশি পদোন্নতিও হয়। তবে তার পরেই সংস্থা ছেড়ে দিলেন ওই কর্মী! আর তার জেরে মন ভাঙল বসের। ওই কর্মীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিলেন তিনি। এক রেডিট ব্যবহারকারী সমাজমাধ্যম ঘটনাটি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পদোন্নতির পর চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া ওই কর্মী তাঁর সঙ্গেই কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:
ওই রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে পদোন্নতির পর সংস্থা থেকে পদত্যাগ করার জন্য তাঁর সহকর্মীকে কী ভাবে তিরস্কার করা হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, ‘‘সেলস দলের আমার এক সহকর্মী সম্প্রতি সুপারভাইজ়ার পদে উন্নীত হয়েছিলেন। পদোন্নতি গ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বেতনও বৃদ্ধি হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে নতুন দায়িত্ব শুরু করার আগেই অন্য সংস্থায় আরও ভাল সুযোগ পেয়ে চাকরি ছাড়েন তিনি।’’
আরও পড়ুন:
ওই রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সেলস এবং মানবসম্পদ বিভাগের আধিকারিকেরা তাঁর সহকর্মীর সেই সিদ্ধান্তে বিরক্ত হন। প্রকাশ্যে তিরস্কার করা হয় তাঁকে। ওই কর্মীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ এবং ‘অপেশাদার’ বলেও অপমান করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ‘সংস্থাকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করার’ অভিযোগও আনা হয়। এই নিয়ে বাকি সহকর্মীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায় বলেও রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন।
যদিও ওই রেডিট ব্যবহারকারী তাঁর সহকর্মীকে সমর্থনই করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘যদি আমার সহকর্মী ভাল কাজ না করত এবং তাঁকে ছাঁটাই করা হত, তা হলে সংস্থা ওকে নিয়ে দু’বার ভাবত না। ওর সম্পর্কে এত কথা বলত না। আনুগত্যের কথাও বলত না। শুধু বলত যে এটি একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। তা হলে যখন সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ওর জন্য ভাল, তখন কেন এত সমস্যা?’’
আরও পড়ুন:
‘ফিলিং_আস্ক_৬৭৮৯’ নামে রেডিট অ্যাকাউন্ট থেকে করা সেই পোস্টটি ইতিমধ্যেই বহু নেটাগরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পোস্টটি আলোড়ন ফেলেছে সমাজমাধ্যমে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘নিজের এবং পরিবারের জন্য যা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে, সেটিই করেছেন ওই কর্মী। প্রতিটি মুদ্রার দুটো দিক থাকে। দুটোই দেখতে হবে। পরিস্থিতিও বুঝতে হবে।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘বেশ করেছেন ওই কর্মী। সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংস্থাগুলি যখন কর্মী ছাঁটাই করে তখন এ সব কথা মনে হয় না?’’