বিবাহের ক্ষেত্রে অনেক সময় নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিয়েতে বাধাকে কুন্ডলী দোষ বলে ধরা হয়। আসলে কুন্ডলীতে এমন অনেক গ্রহ রয়েছে যা বিবাহে বাধা সৃষ্টির জন্য দায়ী। এই প্রতিবেদনে রইল কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার। যেগুলি অনুসরণ করলে সহজেই মোকাবিলা করা যায় এই ত্রুটিগুলির এবং বিবাহ যোগ আরও সহজতর হয়ে ওঠে।
- ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ বিবাহ প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাই এটি পরতে পারেন বিবাহ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।
- ১৬টি সোমবার ব্রত রাখতে পারেন মেয়েরা। এবং উপোস করে দেবী পার্বতী ও শিবের পুজো করতে পারেন।
- ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই ভগবান শিবের মন্দিরে গিয়ে একত্রে শিব ও পার্বতীর পুজো করেন। এতে সুফল মিলবে।
- সোমবার কোনও দরিদ্র মানুষকে দেড় লিটার দুধ ও ২০০ গ্রাম ছোলার ডাল দান করুন। ছেলে মেয়ে দু’জনেই দান করতে পারেন।
- বৃহস্পতিবার হলুদ জিনিস দান করলে বিবাহের যোগ দ্রুত হয়।
- বৃহস্পতিবার ভগবান বৃহস্পতির ব্রত রাখতে পারেন। এবং সারাদিন ভগবানকে স্মরণ করে সন্ধ্যায় ব্রতকথা পাঠ করে ভগবানকে গুড় ও ছোলা নিবেদন করতে হবে। এর সঙ্গে হলুদ ফুল ও চন্দন লাগাতে হবে। আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র সন্ধ্যায় খাবার গ্রহণ করতে পারবেন আর তা হতে হবে লবণ ছাড়া।
- জন্মকুন্ডলীতে মাঙ্গলিক দোষ থাকলে মঙ্গলবার ব্রত করে হনুমানজির পুজো করুন। এবং ভোগে আটা ও গুড়ের লাড্ডু অর্পণ করুন। সঙ্গে নিবেদন করুন সিঁদুর।
- প্রতি বৃহস্পতিবার স্নানের জলে সামান্য হলুদ মিশিয়ে স্নান করতে হবে ছেলে ও মেয়েকে। এতে প্রতিকার মিলবে।
- পুজোর মাধ্যমে বিবাহের যোগ গঠিত হয়। দ্রুত বিবাহের সম্ভাবনার জন্য যুবক-যুবতীর সপ্তমেশ প্রভুর আরাধনা করা খুবই জরুরী। কারণ কুন্ডলীর সপ্তম ঘর হল বিবাহের ঘর। আর পঞ্চম ঘরের অধিপতি চন্দ্রদেব ও সপ্তম ঘরের অধিপতি সপ্তম ঘরে অবস্থান করলে বিবাহের যোগ পাওয়া যায়।
- বিবাহ যোগে সমস্যা থাকলে বৃহস্পতিবার ব্রত পালন করুন। হলুদ বস্ত্র পরিধান করে হলুদ ফুল, ছোলার ডাল এবং চন্দন দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন। এরই সঙ্গে এই দিন কলা গাছের পুজো করুন।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের
Google News,
X (Twitter),
Facebook,
Youtube,
Threads এবং
Instagram পেজ)