Advertisement
E-Paper

নিয়োগ সংশয়ে ১৫০ শিক্ষক

নিয়োগপত্র পাওয়ার পর চার মাস কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও অনেক শিক্ষক কাজে যোগ দিতে পারলেন না। আবার যাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সকলে সরকারি অনুমোদন পাননি। এর জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলার স্কুলের অন্তত ১৫০ জন শিক্ষক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিয়োগপত্র পাওয়ার পর চার মাস কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও অনেক শিক্ষক কাজে যোগ দিতে পারলেন না। আবার যাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সকলে সরকারি অনুমোদন পাননি। এর জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলার স্কুলের অন্তত ১৫০ জন শিক্ষক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সোমবার কর্ণজোড়ায় স্কুল পরিদর্শকের দফতরে গিয়ে দুশ্চিন্তার কথাও জানানও তাঁদের অনেকে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছে বলে তাঁদের দফতর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সমস্যা মিটে যাবে বলেই তাঁরা আশাবাদী। ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক সুজিত মাইতি বলেন, ‘‘সরকারের তরফে দেখা হচ্ছে।’’

উত্তর দিনাজপুর জেলার স্কুলগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শূন্যপদের চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে সমস্যা জটিল আকার নেয়। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বাস্তবে যেখানে ৪৮টি শূন্যপদ রয়েছে, সেখানে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ৪২৫ জনকে। পরে আরও ২০টি শূন্য পদের কথা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে জানানো হলেও তার অনুমোদন মেলেনি। শুরুতে সমস্যা মেটাতে মাধ্যমিক স্তরের শূন্যপদ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পরিবর্তন (কনভার্সন) করে নিয়োগ করা হতে থাকে। দাড়িভিট কাণ্ডের পরে শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত কনভার্সন অবৈধ ঘোষণা করেন। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতনও ঝুলে থাকে।

মাস খানেক আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ওই নতুন নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের এসএমএস পাঠিয়ে ডেকে তাঁদের অন্য স্কুলে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাতে কয়েক দফায় প্রায় ২৪০ জন শিক্ষককে অন্য জেলার স্কুলের শূন্যপদে পাঠানো হয়েছে বলে শিক্ষা দফতরেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রশাসন এবং স্কুল পরিদর্শকের দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার স্কুলগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যে ৪৮টি সঠিক শূন্যপদ ছিল তাতে যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের নিয়োগ অনুমোদন পেয়েছে এবং তাঁরা বেতনও পাচ্ছেন। বাকি প্রায় ১০০ জনের মতো শিক্ষক যাঁরা দাড়িভিট কাণ্ডের আগে জেলার বিভিন্ন স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগ এখনও অনুমোদিত হয়নি। অন্তত ৩৭ জনের মতো শিক্ষক সে সময় নিয়োগপত্র পেলেও এখনও কোনও স্কুলে যোগ দিতে পারেননি।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দফতর থেকে নিয়োগপত্র পেয়ে জেলার স্কুলগুলোতে যোগাযোগ করেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা। তখনই দেখা যায় স্কুলগুলোতে নিয়োগপত্র অনুসারে শূন্য পদ নেই। ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট কাণ্ডের পরেও যাঁরা স্কুলগুলোতে যোগ দিতে পারেননি তাঁদের নিয়োগ স্থগিত হয়ে যায়। এখনও যাঁদের নিয়োগ হয়নি বা নিয়োগ হলেও তা অনুমোদিত হয়নি তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। ওই শিক্ষকদের একাংশ বলেন, ‘‘কবে সমস্যার সমাধান হবে স্পষ্ট নয়। প্রতিটি মুহূর্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেও সমস্যা না মেটা পর্যন্ত কেউই নিশ্চিত হতে পারছেন না।’’

Teacher Recruitment Raiganj Appointment Letter
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy