Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Madhyamik Examination 2024

প্রশ্ন ফাঁসের ‘চেষ্টা’, মানিকচকে ধৃত ২

মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।

arrest

—প্রতীকী ছবি।

অভিজিৎ সাহা, সৌমিত্র কুণ্ডু
মালদহ ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৩
Share: Save:

‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’ গড়ে মাধ্যমিকে ‘প্রশ্ন ফাঁসের’ চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ ছিল মালদহে। মঙ্গলবার রাতে সেই চক্রে জড়িত অভিযোগে মানিকচক থেকে জীবন সাহা নামে এক গৃহশিক্ষক এবং রবিউল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিউল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আত্মীয়। এই দুই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে মানিকচকের গোপালপুরে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে দশ মিনিটের মধ্যে তা উঠে যায়। রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ তৎপর ছিল বলেই দু’জন ধরা পড়েছে।’’ তিনি জানান, এ ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের হদিস, কে বা কারা এ ধরনের কাজ করছে, কারা সে সব গ্রুপে যুক্ত হচ্ছে— সে সব তথ্য আগাম পেতে উদ্যোগী হবে পর্ষদ।

মালদহ জেলা আদালতের নির্দেশে ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে। গ্রুপটি কী ভাবে কাজ করছিল, তা-ও দেখা হচ্ছে।” এর সঙ্গে ভিন্ রাজ্যের যোগ আছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। পুলিশ সূত্রের দাবি, স্নাতক, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কাজে লাগিয়ে হাতে পাওয়া প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’ মারফত পাঠানোর মতলব ছিল জীবনের।

মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। সে সব মোবাইলে ‘২০২৪ এমপি কোশ্চেন আউট’ নামে ১৫১ জনের ওই ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’-এর খোঁজ মেলে।

ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’ এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর দাবি, ‘‘স্যর (জীবন) পরীক্ষার দু’দিন আগে গ্রুপ খুলে আমাকে অ্যাডমিন করে দেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে জেনে আমি মোবাইল নিয়ে যাইনি। অথচ, ওই গ্রুপের অ্যাডমিন হওয়ায় আমারও সব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে।” পর্ষদ জানিয়েছে, অসদুপায় নেওয়ার অভিযোগে এ পর্যন্ত জেলার ১৯ পরীক্ষার্থীর সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকচকের এক শিক্ষকের দাবি, ‘‘মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষায় তেমন ছাত্রছাত্রীরা ভাল নম্বর পেয়ে সফল হলে, কোচিং সেন্টার বা টিউশনগুলিতে ভিড় বাড়বে। তাই টাকার বিনিময়ে কিছু লোকের সহযোগিতায় পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন সরবরাহ করে সমাজ মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’

পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, শুভানুধ্যায়ীরা এ সব নিয়ে কিছু জানলে, সে তথ্য পর্ষদকে জানান। আগাম তথ্য পেলে আমরা সেই মতো ব্যবস্থা নেব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik Examination 2024 arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE