Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Balurghat Dandi case

বালুরঘাটের দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার দুই, বিজেপি বলছে, আসল দোষীরা এখনও বাইরে কেন?

ধৃতদের নাম আনন্দ রায় এবং বিশ্বনাথ দাস। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরে রাজ্য পুলিশের কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করে জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশন।

A photograph of Balurghat Dandi case

দক্ষিণ দিনাজপুরে তিন আদিবাসীকে দিয়ে দণ্ডি কাটানোর ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৩৬
Share: Save:

তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোয় অবশেষে গ্রেফতার হলেন দু’জন। ধৃতদের নাম আনন্দ রায় এবং বিশ্বনাথ দাস। এর আগে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ জানিয়েছিলেন জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশনে। তার পরেই বুধবার কমিশন রাজ্য পুলিশের কাছে ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। যদিও এতে খুশি নয় গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, মূল অভিযুক্তেরা এখনও বাইরে ঘুরছেন। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের কুণাল ঘোষও।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া তিন আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলে ফেরাতে ‘প্রায়শ্চিত্তে’র জন্য রাস্তায় দণ্ডি কাটানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নাম জড়ানোর পরেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় শাসকদল। প্রদীপ্তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। একই দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এ নিয়ে চাপান-উতোরের মধ্যেই রাজ্য পুলিশের কাছে দণ্ডিকাণ্ডের রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় জনজাতি কমিশন। এলাকা ঘুরে তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশনও। প্রদীপ্তা অবশ্য দাবি করেছিলেন, ‘‘ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে ওঁরা নিজেরাই বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত দণ্ডি কেটে এসে আবার তৃণমূলে যোগদান করেন।’’

দুই ধৃতকে বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আনন্দ ও বিশ্বনাথের বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তারও জবাব দেননি। পুলিশ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা যায়নি। আদিবাসী মহিলারা কোনও অভিযোগ করেননি। অন্য এক অভিযোগকারীও অভিযুক্তের নাম দেননি। শীর্ষ আদালতের বিধি মেনেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।

এই গ্রেফতারি নিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তরা এখনও বাইরে। আসল দোষীদের আড়াল করতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতার নাম সিবিআইয়ের এফআইআরে রয়েছে। বিরোধী দলনেতা যে দলের, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা বা না-করা নিয়ে সেই দলের কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Balurghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE