বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল সমর্থক মুক্তার আহমেদের। নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালির ভাঙিপাড়ার রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই সোমবার খুন হয়ে গেলেন আরও দু’জন। এ বার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া। নিহত দু’জনেই তৃণমূল কর্মী বলেই দাবি করেছেন তাঁদের পরিবার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরে এবং উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ভাটপাড়া সংলগ্ন এলাকাতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ-রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। তার পরেও যে ওই এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, সোমবার রাতের ঘটনা তা ফের প্রমাণ করল।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভাটপাড়ার বারুইপাড়ায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। সে সময় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মুক্তার আহমেদ ও মহম্মদ হালিম। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন মুক্তার ও হালিম। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহম্মদ হালিমের (৫৫)। জখম হন আরও তিন জন। মুক্তার-সহ আহতদের উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় মুক্তারের।
মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোমা মেরে খুন করেছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে গিয়েছে। কিন্তু দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। যদিও এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছে বিজেপি। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা এলাকায় বিজেপি সমর্থক বলেই পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের পরিবার এই খুনের ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডের জের, রাজ্য জুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজেই প্রতীকী কর্মবিরতি, বন্ধ আউটডোর
আরও পড়ুন: শাজাহান বাহিনীতে ‘রোহিঙ্গা’, সন্দেশখালি ফুঁসছে গ্রেফতারের দাবিতে, ৩ এফআইআর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy