রমজান মাস চলছে। রোজার সেহরি খাওয়ার জন্য ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিলেন বছর কুড়ির এক বধূ। খাওয়া সেরে শৌচাগারে যেতে গিয়েই বাধল বিপত্তি। ঘরে ঢুকে তাঁকে চ্যাংদোলা করে ছাদে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ এবং তার ভিডিও তুলে রাখার অভিযোগ উঠল পড়শি এক যুবক-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে। সোমবার উলুবেড়িয়ার শ্রীরামপুর-মণ্ডলপাড়া গ্রামে ওই ঘটনার পরে বিকেলে বধূর পড়শি, অভিযুক্ত শামিম মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিনই তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়। বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ওই বধূ তাঁর এক বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর স্বামী মুম্বইয়ে জরির কাজ করেন। বধূর বাড়ির ফুট দুয়েকের ব্যবধানে শামিমদের বাড়ি। পুলিশকে ওই বধূ জানিয়েছেন, শামিমরা ছাদ টপকে কোনও ভাবে দরজা খুলে ঢোকে। তাঁকে চ্যাংদোলা তিন তলার ছাদে নিয়ে যায়। তিনি চিৎকারের চেষ্টা করলে মুখে রুমাল চেপে দেওয়া হয়। তার পরে গণধর্ষণ করে এবং তার ছবি তুলে নিয়ে তিন জনই ছাদ থেকে লাফিয়ে চম্পট দেয়। শামিমের দুই সঙ্গীকে তিনি চেনেন না বলে বধূ পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘটনার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ আচ্ছন্ন থাকার পরে মোবাইলে স্বামীকে সব জানান। বধূর স্বামীর থেকেই গ্রামবাসীরা ঘটনার কথা জানতে পারেন। বেলা ৯টা নাগাদ তাঁরা ওই বাড়িতে আসেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। গ্রামবাসীরা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy