গত ১৪ বছর ধরে টানা একুশের সভায় এসেছেন ভাটপাড়ার সমীর সরকার। কিন্তু রবিবার তিনি আর ধর্মতলায় যাননি। কেন? সমীরবাবুর জবাব, “এলাকার পরিস্থিতি ভাল নয়। বিজেপির লোকেরা চারদিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সভায় গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে।” কাঁকিনাড়ার তৃণমূল কর্মী বিকাশ পাসোয়ান বলছেন, “চারদিকে ওদের সতর্ক নজর। আগে ওরা আমাদের দলেই ছিল। রবিবার এক আত্মীেয়র বাড়ি যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় শুনলাম, এলাকায় দেখা না গেলে বিপদ হতে পারে। সেই ভয়ে আর কোথাও যাইনি।”
এই ‘ভয়’-ই জাঁকিয়ে বসেছে ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের মধ্যে। আর সেই কারণেই অন্য বারের তুলনায় অনেক কম সমর্থক এ বার রবিবারের ধর্মতলার সভায় যোগ দিতে গিয়েছেন বলে মনে করছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা।
গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ব্যারাকপুর আসনটি জিতেছে সামান্য ব্যবধানে। তার পরে শিল্পাঞ্চলে প্রায় সর্বত্র তৃণমূলের পার্টি অফিস হাতছাড়া হয়েছে। ভোটে জেতা পুরসভাও বেরিয়ে গিয়েছে হাত থেকে। দু’মাস আগে শুরু হওয়া ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়ার গোলমাল এখনও থামেনি। তবে তার মধ্যে দু’টি পুরসভার দখল ফের তারা পেয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবুও শিয়ালদহ মেন লাইনে রবিবার সকালের ট্রেনে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি।