Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Shantanu Thakur

Shantanu Thakur: শনিতে কলকাতার পর রবিতে ঠাকুরনগরে বিদ্রোহী শান্তনুর বৈঠকে পদ্মের মতুয়া বিধায়করা

বৈঠকে হাজির ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ত সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং রাণাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।

বৈঠকে হাজির ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং রাণাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।

বৈঠকে হাজির ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং রাণাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:২৬
Share: Save:

শনিবার রাজ্য বিজেপি-র ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিদের সঙ্গে বৈঠকের পর রবিবার সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন শান্তনু ঠাকুর। হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, মতুয়া ক্ষোভ এবং বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে পর পর বৈঠকে বসার জেরে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। এই আবহে রবিবার দুপুরে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যদের সঙ্গে শান্তনুর এই বৈঠক গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।

রবিবার ঠাকুরবাড়ির বৈঠকে হাজির ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং রাণাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এই তিন মতুয়া বিধায়ক-সহ বিধায়ক অসীম সরকার ও অম্বিকা রায়ও কিছু দিন আগে বিজেপি-র হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকা নিয়ে ক্ষোভের কারণে। পরে বিজেপি-র সমস্ত হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন শান্তনুও।

সূত্রের খবর, বৈঠকে মতুয়াদের দাবিদাওয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নাগরিকত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে, মূলত তাই নিয়েই হয়েছে আলোচনা। বৈঠকের পর শান্তনু বলেন, ‘‘এটা সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। জেলায় জেলায় সংগঠন কী ভাবে কাজ, তাই নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।’’ একই কথা বললেই সুব্রতও। তাঁর কথায়, ‘‘সাংগঠনিক আলোচনার বাইরে কোনও আলোচনা হয়নি।’’

সদ্যই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পর থেকেই দলের অন্দরে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন। নয়া কমিটি থেকে বাদ পড়ায় সায়ন্তন দলের সব হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছিলেন। দীর্ঘদিন সহ-সভাপতি থাকা দলের প্রবীণ নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদাররাও কোনও পদ না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। বিদ্রোহে যোগ দেন বাঁকুড়ার বিধায়করা। এর পরে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডারা। প্রকাশ্যে ক্ষোভের কথা বলেন প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক।

শান্তনুও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রাজ্য পদাধিকারীমণ্ডলীতে মতুয়া প্রতিনিধি আনার দাবি জানান। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁর দাবি মানা হয়নি।

এই সব নিয়ে জেরবার বিজেপি-র অস্বস্তি বাড়িয়ে শনিবার শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকের পরে বিদ্রোহীরা সোজাসুজি দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুললেন। একা অমিতাভ ন‌ন, তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই আবার মতুয়া নেতাদের মধ্যে বৈঠক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই আরও স্পষ্ট করে তুলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shantanu Thakur Matua BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE