খাটালের জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদের জেরে শুরু মারামারি। তার পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলল আক্রমণ। সেই ঘটনায় দুই পরিবারের মোট ন’জন জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার খড়দহের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ।
পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের উপ-নগরপাল (মধ্য) ইন্দ্রবদন ঝা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, খড়দহ পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের টিটাগড় জি সি রোডের বাসিন্দা ভোলা যাদব ও অশোক যাদবের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে খাটালের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। এ ছাড়াও ওই দুই বাড়ির মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, আদতে বিহারের বাসিন্দা ওই দুই পরিবার। সেখানেও তাদের খাটালের ব্যবসা রয়েছে। এ দিন একে অপরের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে ঝগড়া শুরু করেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মারামারি শুরু হতে আচমকাই দুই পরিবারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে কোপাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় জখম ন’জনকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাত জনকে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ভোলার দাবি, ‘‘স্নান করছিলাম। আচমকা অশোক, জিতেন্দ্ররা হামলা চালাল। বিহারেও ওরা আমাদের জমি দখল করেছে।’’ তাঁর পরিবারের ছ’জন জখম হন বলে দাবি ভোলার। জিতেন্দ্রর পাল্টা দাবি, ‘‘আমাদের এখানকার জমিতে বাঁশ পুঁতেছে ভোলারা। তার প্রতিবাদ করেছি। তাই আমার দুই ছেলে ও ভাইকে বেধড়ক মারধর করেছে। ওরা হাসপাতালে ভর্তি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারই অভিযোগ জানিয়েছে। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)