নিহত তপন বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।
গলার নলি কেটে, কুপিয়ে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ফাঁকা খেত থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার ফুলবাড়ি এলাকায়। নিহতের নাম তপন বিশ্বাস (৪৩)। দেহ ময়না তদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তপন এলাকায় টাকা লেনদেনের কারবারে যুক্ত ছিলেন। সুদে টাকা খাটাতেন। কারবারের সূত্রে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোতেন। রাত ১০টার মধ্যে ফিরেও যেতেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ গ্রামবাসীরা দেখতে পান, রাস্তার পাশে খেতের মধ্যে তপনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তপনকে খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, তপনকে খুনের পিছনে ব্যবসায়ীক শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু দেহের পাশেই পড়ে ছিল তপনের ব্যাগ। তাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিল। সেই টাকা আতয়াতীরা নিয়ে যায়নি। তা থেকে তদন্তকারীদের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেও খুন হতে পারে। উদ্ধার হওয়া টাকা পুলিশ তপনের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে।
তপনের তিন মাসের একটি সন্তান আছে। স্বামীর খুনের ঘটনায় স্ত্রী রিতা ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, "আমি দু'মাস অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলাম। এই সময়ে স্বামীর সঙ্গে কারও শত্রুতা হয়েছিল কি না জানা নেই। স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনেকেই পরিশোধ করেননি। ১০-১২ লক্ষ টাকা বাকি। এ সবের জেরে স্বামীকে খুন করা হতে পারে।" রিতা বলেন, "দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে স্বামী কোনও দিন যেতেন না। বৃহস্পতিবার কেন ওই এলাকায় গেলেন, জানি না।" পুলিশের অনুমান, এমন কেউ তপনকে ওই এলাকায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, যিনি তপনের পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy