Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Arrest

মাকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প, গ্রেফতার ছেলে

পুলিশ শৌর্যদীপকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মাকে খুনের কথা স্বীকার করে সে। খুনের কারণ হিসাবে ওই যুবক জানায়, তার বাবার চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে মায়ের গাফিলতি ছিল।

An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:০৫
Share: Save:

থানায় ফোন করে এক যুবক কর্তব্যরত অফিসারকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলের বর্ণনাও প্রায় নিখুঁত ভাবে পুলিশকে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই যুবকের কথাবার্তায় কিছু অসঙ্গতি পাওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে ঘটনাস্থলে এসে সব সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পরে সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। এর পরে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে যুবকটি জানায়, সে-ই তার মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। গত শনিবার, সপ্তমীর দিন ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াপাড়া থানার ঘোষপাড়া রোড সংলগ্ন বাদামতলা এলাকায়। শৌর্যদীপ শিকদার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শ্যামলী শিকদার (৬২)। স্বামী আনন্দ শিকদারের মৃত্যুর পর থেকে ছেলের সঙ্গেই থাকতেন প্রৌঢ়া। বছর সাত-আটেক আগে বাবার মৃত্যুর পরে হোটেল ম্যানেজমেন্টের পড়া শেষ করে কয়েকটি জায়গায় কাজ করেছিল শৌর্যদীপ। কর্মসূত্রে দিল্লিতেও ছিল বেশ কিছু দিন। তবে বর্তমানে সে কিছু করত না। পুলিশ জানায়, সপ্তমীর দিন থানায় ফোন করে শৌর্যদীপ জানায়, তার মা আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। সেই সময়েই ঘরের সিলিং ফ্যানে গামছার ফাঁস দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পাশাপাশি, যে ভাবে দেহটি বিছানায় শোয়ানো ছিল এবং গামছার দৈর্ঘ্য যা ছিল, তা দেখে তাঁরা মোটামুটি নিশ্চিত হন যে, ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়। তা ছাড়া, শ্যামলীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্নও ছিল স্পষ্ট।

এর পরেই পুলিশ শৌর্যদীপকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মাকে খুনের কথা স্বীকার করে সে। খুনের কারণ হিসাবে ওই যুবক জানায়, তার বাবার চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে মায়ের গাফিলতি ছিল। যে কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। শৌর্যদীপের আরও অভিযোগ, দিদিদের সঙ্গে পরামর্শ করে মা তাকে পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই সব বিষয় নিয়ে আগেও মা-ছেলের মধ্যে গোলমাল হয়েছিল। শ্যামলীকে মারধরও করেছিল শৌর্যদীপ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বয়ান যাচাই করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police investigation Murder Barrackpore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE