E-Paper

ঘুমন্ত পথকুকুরকে পরের পর রডের ঘা, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

কুকুরটিকে মারার ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবিতে জনমত তৈরি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

রাস্তার ধারে চুপচাপ শুয়ে ছিল একটি পথকুকুর। চুপি চুপি সেখানে এসে হঠাৎ একটি লোহার রড দিয়ে কুকুরটির উপরে হামলা চালান এক ব্যক্তি। তিন-চার বার এলোপাথাড়ি আঘাত করেন কুকুরটিকে। আচমকা হামলায় আওয়াজটুকুও করতে পারেনি ঘুমন্ত কুকুরটি। মুখখানা এক বার কিছুটা তোলার চেষ্টা করেই ফের নেতিয়ে পড়ে সে। বৃহস্পতিবার রাতে গড়িয়ার বাঘারখোল-বটতলা এলাকার এই ঘটনায় আক্রমণকারী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা ও একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের উদ্যোগে পশু চিকিৎসালয়ে পাঠানো হয়েছে কুকুরটিকে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বাপ্পা রায় পেশায় পুলিশকর্মী। তিনি কলকাতা পুলিশে আইবি-র কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। এর আগেও বাপ্পা এলাকার একাধিক কুকুরকে নৃশংস ভাবে মেরেছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ওই রাতে তাঁকে রড নিয়ে ঘুরতে দেখে মোবাইলে ভিডিয়ো করতে শুরু করেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। তাতেই দেখা যায়, রাস্তার ধারে শুয়ে থাকা কুকুরটিকে রড দিয়ে মারছেন বাপ্পা।

ঘটনার পরেই স্থানীয় লোকজন বাপ্পাকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ জানান। তাতেও বাপ্পার মধ্যে অনুতাপ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, জনরোষের মুখেও ‘বেশ করেছি, আবার করব’ গোছের কথা বলেন বাপ্পা। স্থানীয় বাসিন্দারা যোগাযোগ করেন একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে। তারা এসে কুকুরটির শুশ্রূষার ব্যবস্থা করে। নরেন্দ্রপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই জনতার হাত থেকে বাপ্পাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চান বাপ্পা। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়।

কিন্তু কুকুরটিকে মারার ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবিতে জনমত তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে
শুক্রবার থানায় গিয়ে বাপ্পার নামে লিখিত অভিযোগ করেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে এক জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে অভিযোগ নেওয়া হয়।

পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে মহুয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নৃশংস ভাবে কুকুরটিকে মারা হয়েছে। আমরা শুনেছি, উনি আগেও কুকুর পিটিয়ে মেরেছেন। প্রাথমিক ভাবে উনি মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। কিন্তু বহু মানুষের দাবি মেনে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি। মেনকা গান্ধীর দফতরেও ইমেল করা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Police personnel Street Dog Animal Cruelty

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy