E-Paper

পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীর কাজ নিয়ে বিতর্ক

কী বলছেন ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক তমাল ভট্টাচার্য? তিনি বলেন, “আমি আসার আগে থেকে উনি দফতরের গাড়ি চালান। শুনেছি, পঞ্চায়েতের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৫
ভূমি সংস্কার দফতরে বসে অনলাইনে কাজ করছেন গোলাম। ছবি: সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে

ভূমি সংস্কার দফতরে বসে অনলাইনে কাজ করছেন গোলাম। ছবি: সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে

ভূমি রাজস্ব দফতরের কম্পিউটার থেকে অনলাইনে গুরুত্বপূর্ণ নথি বের করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ভাঙড় ২ ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতরের নিজস্ব কম্পিউটারে বসে জমির অনলাইন পর্চা বের করা সহ বিভিন্ন কাজ করছেন বেঁওতা ২ পঞ্চায়েতের ভিএলই (ভিলেজ লেবেল এন্টারপ্রেনর) বা অস্থায়ী তথ্য প্রযুক্তি কর্মী গোলাম রব বৈদ্য। ওই ভিডিয়োর সূত্র ধরে ব্লক প্রশাসনের কাছে ভূমি সংস্কার দফতরের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।

কী বলছেন ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক তমাল ভট্টাচার্য? তিনি বলেন, “আমি আসার আগে থেকে উনি দফতরের গাড়ি চালান। শুনেছি, পঞ্চায়েতের ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন। অনলাইন পর্চা ছাড়ার চাপ থাকায় এবং কর্মী না থাকায় কোনও এক সময়ে উনি আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে তাঁকে আর কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না।” এ ব্যাপারে গোলামের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজেরও উত্তর দেননি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত গোলাম জমি কেনা-বেচা করেন। অভিযোগ, তিনি নিজের পঞ্চায়েত অফিসে ঠিক মতো কাজে যান না। তাঁর একটি গাড়ি রয়েছে, যেটা তিনি ভাঙড় ২ ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতরে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। নিজেই সেই গাড়ি চালান। ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিকের গাড়ির চালক হওয়ার সুবাদে গোলাম দফতরের বিভিন্ন কাজ করেন বলে অভিযোগ। ব্লক এলাকার বিভিন্ন জমির খুঁটিনাটি তথ্য পেয়ে যান। সেই মতো জমি কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নানা অনৈতিক কাজ করছেন বলেও অভিযোগ।

এ বিষয়ে জেলার বিজেপির সহ সভাপতি অবনীকুমার মণ্ডল বলেন, “এক শ্রেণির জমি মাফিয়া ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সেচ দফতর সহ সরকারি জমি বেআইনি ভাবে জবরদখল করে নিচ্ছে। পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ভূমি রাজস্ব দফতরে বসে গুরুত্বপূর্ণ নথির কাজ করছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, সরকারি সমস্ত দফতরে আর জি করের সঞ্জয় রায়ের মতো কর্মীরা রয়েছে। যাদের দিয়ে নানা অনৈতিক কাজ করানো হয়।”

ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ খয়রুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। যথাযথ প্রমাণ থাকলে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। যদি ঘটে থাকে, তা হলে বিএলআরওকে বলব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BLLRO Bhangar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy